গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিটি কর্পোরেশনের মোট ১২ লাখ ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেবেন।
সিটি নির্বাচনে মঙ্গলবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। ওইদিন মধ্যরাত থেকে প্রার্থীদের প্রচার শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ভোটদানের। প্রায় ৪০ লাখ নগরবাসীর সেবা করার জন্য কারা হচ্ছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এটাই নির্ধারণ হবে আজকের এ নির্বাচনে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় সংসদসহ আগামী নির্বাচনগুলোতে অনেকটা প্রভাব ফেলবে এমন ধারণায় এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যদিও বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাকের পার্টিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাড. আজমত উল্লা খান। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, তিনি সাবেক টঙ্গী পৌরসভার মেয়র-চেয়ারম্যান হিসেবে তিনবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন।
তার সঙ্গে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জায়েদা খাতুন। এ দুই প্রার্থীর বাইরে ভোটের লড়াইয়ে আছেন জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন’র প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতার ছেলে শাহনূর ইসলাম রনি।
এ ছাড়াও এ নির্বাচনে ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আসনে ৭৮ জন এবং ৫৭টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদের ২৪৩ জনসহ মোট ৩২৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রস্তুত। ইতোমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নির্বাচনে একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। অবশ্য এদের মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে তিন হাজার ৪শ ৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। সিটি করপোরেশনের ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭শ ৪৭ জন, নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ ৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে ১০ হাজার ৯শ ৭১ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ৪শ ৮০ জন প্রিসাইডিং অফিসার, তিন হাজার ৪শ ৯৭ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ছয় হাজার ৯শ ৯৪ জন পোলিং অফিসার। সিটি এলাকার ৩শ ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ৪শ ৮০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানে ২টি করে ভোটকেন্দ্র, ১৬টি প্রতিষ্ঠানে তিনটি করে ভোটকেন্দ্র, ৯টি প্রতিষ্ঠানে চারটি করে ভোটকেন্দ্র এবং একটি প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র থাকছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত