গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে সিন্ডিকেট মুক্ত করব: আজমত উল্লাহ

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে নৌকার প্রার্থী অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান বলেছেন, আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচিত হলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে সিন্ডিকেট মুক্ত করব।

বৃহস্পতিবার টঙ্গী দারুস সালাম মাদ্রাসায় ভোট দেন অ্যাড. আজমত উল্লাহ। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আজমত উল্লাহ বলেন, গাজীপুরের সব কেন্দ্রে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। এই ভোট সকল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।

এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শুরুর দু’ঘণ্টা আগ থেকেই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে ভোটার উপস্থিতি থাকলেও ইভিএম জটিলতায় ভোটগ্রহণে ধীরগতি চলছে। এমনকি অ্যাড. আজমত উল্লাহরও ইভিএম জটিলতার কারণে ভোট দিতে সময় লেগেছে।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নির্বাচনে একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। অবশ্য এদের মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে তিন হাজার ৪শ ৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। সিটি করপোরেশনের ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭শ ৪৭ জন, নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ ৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে ১০ হাজার ৯শ ৭১ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ৪শ ৮০ জন প্রিসাইডিং অফিসার, তিন হাজার ৪শ ৯৭ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ছয় হাজার ৯শ ৯৪ জন পোলিং অফিসার। সিটি এলাকার ৩শ ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ৪শ ৮০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানে ২টি করে ভোটকেন্দ্র, ১৬টি প্রতিষ্ঠানে তিনটি করে ভোটকেন্দ্র, ৯টি প্রতিষ্ঠানে চারটি করে ভোটকেন্দ্র এবং একটি প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র থাকছে।