বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী শুক্রবার ১ ডিসেম্বর এই রুটে ট্রেনের প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছে। এতে যাত্রীর সংখ্যা হয়েছে এক হাজার ৩০ জন।
শুক্রবার ১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন থেকে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের প্রথম ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এই ট্রেন রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ফিরতি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়।
গত ২৩ নভেম্বর উদ্বোধনী ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরুর দিন প্রথম আড়াই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে যায়।
জানা যায়, নতুন এ রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনটির নামকরণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ছয়টি নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়। সেই ছয়টি নাম থেকে প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির নাম ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ চূড়ান্ত করেন।
চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয় প্রায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে নব নির্মিত আইকনিক স্টেশনে এই রেলপথ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণ সহ প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করেছে রেল বিভাগ।
এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন সম্ভাবনা। বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে ইতিমধ্যে হোটেল বুকিং দিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রুটে ট্রেনের সকল টিকেট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।
রেল মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আইকনিক এই স্টেশনটি নির্মাণে চীন, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক স্টেশনের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। পুরো প্রকল্পটিতে ১১০ জন বিদেশীসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং ছয় শতাধিক লোক কাজ করেছে। চার বছরের শ্রমে অনন্য সুন্দর রেলস্টেশন ভবনটির কাজ শেষ হয়েছে।