দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালীতে শালিশী বৈঠকে প্রতিবেশি জামাইয়ের চাপাতির কোপে আব্দুস সোবহান নামক এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন (৫২) চাপাতির কোপে আহত হয়।
মঙ্গলবার ( ৬ জুন) রাত সাড়ে ১১ টায় দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালীর ৯ নং আস্করপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন সুন্দরা মাঝাপাড়া মুকুন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘাতক প্রতিবেশি জামাই নুর মোহাম্মদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। নুর মোহাম্মদ সাথে ২৫ বছর আগে দিনাজপুর দক্ষিণ কোতয়ালীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলায়ার সুন্দরা মুকুন্দপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ফেত্তার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘর জামাই হিসেবে শ্বশুরালয়ে ছিলো নুর।তাদের সংসারে দু’টি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। আড়াই বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সূত্র ধরে নুর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে চলে যায়। স্ত্রীকে ও ছেলে-মেয়েকে নেয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে নুর শ্বশুর বাড়িতে আসে। এ নিয়ে জয়নাল হোসেন একালাবাসীদের নিয়ে রাত ১১ টায় শালিশী বৈঠক ডাকে।
‘বৈঠক চলাকালে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে জামাই নুর কোমরে গুজে রাখা চাপাতি দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত লোকদের এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘাড়ের পেছনে কোপ লেগে ঘটনাস্থলেই প্রতিবেশি কৃষক আব্দুস সোবহান (৬০) নিহত হয়। আহত হয় সাবেক ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন (৫২)।’
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার পর ঘাতক নুর (৫০) ভুট্টা ক্ষেত দিয়ে পূণর্ভবা নদী পার হয়ে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ঘাতকের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসিন (৪৫), ছেলে সোহেল (২২) ও মেয়েসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহত সোবহানের মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মূল ঘাতক নুরকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা ও নিহতের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।