রাজধানীর মুগদার মাতব্বর গলি এলাকায় একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া চারজনের মধ্যে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গতকাল সোমবার রাতে মৃত্যু হয় তাদের।
মারা যাওয়া দুজন হলো— প্রিয়াঙ্কা (৩২) ও তার শিশু সন্তান উরক (৫)।
আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন উরকের মামা পলাশ হোসেন। তিনি বলেন, ‘উরক গতকাল সোমবার রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে মারা যায়। আর আমার বোন দিবাগত রাত ২টা ৪৩ মিনিটে মারা যায়। আমার মা, বোন, ভাগনে আর বোনজামাই আগুনে দগ্ধ হয়েছিল। এর মধ্যে দুলাভাই সুধাংশু (৩৫) ও মা শেফালির অবস্থাও ভালো না।’
গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে রান্নার জন্য চুলায় আগুন দেন শেফালি বেগম। তখনই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে কক্ষটি। এতে চারজন দগ্ধ হয়। দগ্ধ চারজনকেই নেওয়া হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এর মধ্যে প্রিয়াঙ্কা ও উরক মারা গেল।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন গতকাল সোমবার বলেছিলেন, সুধাংশু ২৫ শতাংশ, প্রিয়াঙ্কা ৭২ শতাংশ, উরক ৬৭ শতাংশ এবং শেফালি ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হন।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামাল উদ্দীন গতকাল বলেছিলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, সিলিন্ডারটি লিকেজ হয়ে পুরো কক্ষে গ্যাস ছড়িয়ে ছিল। আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই কক্ষটি জ্বলে ওঠে। সে সময় ওই কক্ষে চারজন ছিল। ফলে চারজনই দগ্ধ হয়েছে।’
মীর জামাল উদ্দীন আরও বলেন, ‘একটি কক্ষের বাসায় শেফালি ও তার ছেলে পলাশ থাকতেন। সুধাংশু স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শরীয়তপুর থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। সকালে পলাশ বাসার বাইরে ছিলেন। রান্নার জন্য চুলা ধরালেই প্রথমে আগুন ধরে যায়। পরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণও হয়। ওই বাড়ির মালিকের নাম সাজু মিয়া।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত