ধানমন্ডিতে দুই দিনের বিজয় মেলার সমাপনী

ধানমন্ডি সোসাইটির আয়োজনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দুই দিনব্যাপী বিজয় মেলা শেষ হয়েছে আজ। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে বিজয় মেলা চলে শনিবার পর্যন্ত।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় ধানমন্ডি ৪ নম্বর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

ধানমন্ডি সোসাইটি উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের স্পন্সর হিসেবে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘পকেট’। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ২৪, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাসহ কয়েকটি গণমাধ্যম।

ধানমন্ডি সোসাইটি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধায় প্রথম দিনে ছিল চিত্রকলা প্রদর্শনী এবং শিশুদের জন্য খেলার আয়োজন। বিকেল তিনটায় মেলার উদ্বোধন করা হয় এরপর সাড়ে ৪টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন ও কোরআন তেলাওয়াত করা হয়।

একই দিন বিকেলে ধানমন্ডির উন্নয়ন, নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করা আলোচনা হয়। সন্ধ্যায় শুরু হয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনে ছিল মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে চলে বিজয় মেলাও।

ধানমন্ডি সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বিজয় মেলা ও সাস্কৃতিক সন্ধার আয়োজন করতে পেরে সংগঠনটি আনন্দিত।

বছরব্যাপী বিভিন্ন জাতীয় উৎসব পালনেই ধানমন্ডি সোসাইটির কার্যক্রম সীমাবদ্ধ নয় বরং জাতীয় উৎসব শ্রদ্ধার সঙ্গে পালনের পাশাপাশি ধানমন্ডিতে বসবাসরত বাসিন্দাদের কিভাবে নিরাপদ ও সুস্থ্য জীবন দেওয়া যায় সেজন্য নিরলস কাজ করে যাওয়া হচ্ছে। মাদক, ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করা, যাজনট নিরসনে সবাইকে নিয়ে কাজ করাসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নিয়মিত কার্যক্রম চলছে।

সংগঠনটি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে পাশে থাকায় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এবিজি টেকনোলজিস লিমিটেড-এর ডিজিটাল ওয়ালেট ‘পকেট’ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মেলায় ধানমন্ডির অধিবাসী এক ক্রেতা ও দর্শণার্থী বলেন, এমন আয়োজন বিজয়ের আনন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, পারস্পরিক সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়ায়।

তিনি বলেন, ধানমন্ডিতে যারা আমরা বসবাস করি, তাদের জন্য এটি একটি উৎসবের মত। এই বিজয় মেলাতে সবাই একত্রিত হয়, এতে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ তৈরি হয়।

আয়োজকরা বলেন, দেশি-বিদেশি পণ্যের বিক্রির পাশাপাশি দর্শণার্থীদের বিনোদিত করার জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।