ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস গণহত্যা চালানোর পর এদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার বিন্দুমাত্র নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যা জার্মানির হিটলারকেও হার মানায়।
কানাডাভিত্তিক একটি অনলাইন টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, হিটলারের গণহত্যার দোসরদের যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে, জুলাই গণহত্যার খলনায়কদেরও সেভাবে ধরে নিয়ে আসা উচিৎ। এছাড়া যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা জনগণের হাতে পড়লে কী অবস্থা হবে, সেটা জানেন। সেজন্য আমি মনে করি, তাদের আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করা উচিৎ।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমি এককথায় যদি বলি, জার্মানিতে ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত যা হয়েছে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এই অবস্থায় ছিল। এজন্য আমি চেয়ার টেবিলও বদল করেছি। ওই চেয়ার-টেবিলে আমি বসতে চাই না। পুরো মিনিস্ট্রিকে ওরা দূষিত করে গেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। আমি যে বক্তব্য দিয়েছি সেটা তাদেরকে খণ্ডিত করার জন্য বলেছিলাম। নাউ আই অ্যাম কনভিন্সড। আমি ভেবেছিলাম তারা লজ্জা পাবে। কিন্তু তাদের লজ্জা নেই। তাদের মধ্যে যারা দেশে রয়ে গেছে তারা এখনও এদেশের মাটিতে বসে নানা ধরনের অপকর্ম করার হুমকি দিচ্ছে। হিটলারের দলের মতোই তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, হাসিনার আমলে সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানগুলোতে আমি দাওয়াত পেতাম না। আমাকে একটি কনভোকেশনেও যেতে দেয়নি। পরে আমি তৎকালীন সেনাপ্রধানকে বলেছি, আমি কারও দয়ায় কনভোকেশনে যাচ্ছি না। এটা আমার অর্জন। এরপর আমি সেই কনভোকেশনে গিয়েছি। শারীরিক টর্চার না করলেও মানসিক টর্চার চালিয়েছে আমার ওপর। তবে হাসিনা যে প্রোগ্রামে থাকত, তার ধারেকাছেও যেতাম না। কেউ অনুরোধ করলেও যেতাম না। এজন্য আমার বন্ধুরা মজা করে আমাকে নব্য রাজাকার বলত।
ভারতের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র বলেন, আপনারা আপনাদের রাজনীতিকেও কলুষিত করছেন, আপনাদের নেইবারহুডকেও কলুষিত করছেন। চয়েজ ইজ ইওরস। আপনি কি ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক চান নাকি এখানকার ১৮ কোটি মানুষের ভালোবাসা চান?
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখনও স্ট্রাগল করছি। একটা ফেরাউনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপনি মনে করেন সব শেষ হয়ে গেছে? আমি এখনও টার্গেটেড। আমরা টার্গেটেড। তবে আমারও ভুল থাকতে পারে। তবে আমি সচেতনভাবে কখনও ভুল করি না, করব না। আমাদেরকে সাহায্য করেন। প্লিজ হেল্প আস।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত