

ভোলা জেলা প্রতিনিধি
ভোলার দৌলতখানের শাহশুভী এলাকায় তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপির কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী তাতে বাধা দিয়ে হামলা করেছিল বলে জানিয়েছেন সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ভোলা-২ আসনের এমপি প্রার্থী এ্যাডভোকেট এবিএম ইব্রাহিম খলিল।
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান নিজে আসলেও ভোলা-২ আসনে ধানের শীষের প্রচারণা চালাতে পারবে না’ বলে তারা আমার এবং আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছিল। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। দলের শীর্ষনেতার বিষয়ে এমন কথা বলতে পারলে তারা এলাকায় কী ধরনের রাজত্ব তৈরি করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শনিবার বিকেলে ভোলা-২ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী এ্যাডভোকেট এবিএম ইব্রাহিম খলিল এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, আমি এলাকায় আসলে সবসময়ই গণসংযোগসহ সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা চালাতে আমরা দৌলতখানে যাই। সেখানে শাহশুভী নামক এলাকায় একটি মানববন্ধন ছিল। সেখানে মানববন্ধন করা লোকজনের কাছে আমরা ৩১ দফার প্রচারণা করি। এসময় বিএনপির নামধারী কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী আমাদেরকে প্রচারণায় বাধা দেন। ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি ছাড়া ওই আসনে কেউ প্রচারণা চালাতে পারবে না বলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।
‘এখানে আমি কোন ব্যক্তিগত প্রচারণা চালাতে আসিনি। দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা চালাতে এসেছি। তিনি সকল নেতাকর্মীকে ৩১ দফার প্রচারণা চালিয়ে বিএনপির পক্ষে ভোটের গণজোয়ার তৈরি করতে বলেছেন। একথা বললে উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা বলেন, আপনি কেন- তারেক রহমান নিজে এলেও এখানে ধানের শীষের প্রচারণা চালানো যাবে না। বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানে সাবেক এমপি ছাড়া আর কেউ প্রচারণা চালাতে পারবে না’, জানান এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর আমি রাজপথে ছিলাম। এমন নয় যে, ৫ আগস্টের পর আমি এলাকায় নতুন এসেছি। বিএনপির পক্ষে সরব থাকায় র্যাব আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম এবং রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। গত ১৭ বছর যারা পালিয়ে ছিল, আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে সমঝোতা করে সব টিকিয়ে রেখেছিল, তারাই এখন বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানে হর্তাকর্তা হয়ে বসেছে।
ইব্রাহিম খলিল জানান, বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের সবখানে রামরাজত্ব চলছে। চরের হাজার হাজার একর জমি প্রকৃত কার্ডধারীদের দেওয়ার বদলে বিএনপির নামে দখল করে খাচ্ছে। সবখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে। ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার বাজারের ইজারা ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠিয়ে লুটপাট করে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে আমি কথা বলছি বলেই মূলত আমাকে তাদের সমস্যা। আওয়ামী লীগ আমলে শেখ হাসিনা আমাকে থামাতে পারেনি, এখনও আমাকে সত্য-ন্যায়ের পথ থেকে সরানো যাবে না।
তিনি বলেন, আমার উপর যারা হামলা করেছে তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে দলীয় পদ-পদবী দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আমার সাথে তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণায় যাওয়ার কারণে ছাত্রদলের কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দেশনায়ক তারেক রহমান এবং দলের হাইকমান্ডে এসব বিষয়গুলো জানানো হচ্ছে।