ভালোবাসাহীন যৌনতা, বদলাচ্ছে ভালোবাসার রং

পুরুষের ক্ষেত্রে কাম এবং প্রেম দুই বড্ড তাড়াহুড়োর। সহজেই তারা উন্মত্ত হয়ে যায়, সহজেই তারা সমস্ত প্রেম একবারে দেখিয়ে ফেললেই যেন বাঁচে। এই ভবসাগরে ডুব দিয়ে তারা এখুনি সব সম্পদ নিয়ে আসবে এই হল তাদের পণ। নারীদের ক্ষেত্রে কাম এবং প্রেম দুইই নানা স্তর পার হয়ে আসে। তাদের কোনকিছুই খুব আচমকা নয়, অনেক ধীর, অনেক পরিণতির মধ্যে দিয়ে যে ভালবাসাটা বাসে তা দীর্ঘস্থায়ী। কারণ তার মধ্যে বহুদিনের সঞ্চিত এক বোধের বসবাস। পুরুষের এই আচমকা উত্তেজনা তারা সহজে সইতে পারে না, আহত হয়, তবু এই উত্তেজনায় তারা আকৃষ্ট হয়। এই পাগলামো পেতে কম বেশি সমস্ত নারী ভালোবাসে। এই হল তাদের সমর্পণ। এই সমর্পণের পেছনে শারীরিক এবং মানসিক দুই বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ।দু ক্ষেত্রেই তারা কখনো নিয়ন্ত্রণাধীন হতে চায় এবং কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। পুরুষের ক্ষেত্রে যদিও এই দুই বৈচিত্র্য কিঞ্চিৎ কম।তাদের ক্ষেত্রে এই প্রাথমিক পাগলামি এবং দুর্বলতা ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ প্রমাণ। তাতে সমর্পণ আছে, আবার অহং-ও প্রবল। সমস্ত জগত থেকে নারীকে বিচ্ছিন্ন করে সে পেতে চায়, এবং নিজেকে সমর্পণ করতে চায়। অন্তত প্রাথমিকে। নারী এই পাগলামি যে ক্ষণস্থায়ী তা বোঝে, তবু ক্ষীণ প্রশ্রয় দেয়, কারণ নারীর মধ্যে অবস্থিত পুরুষের ভাগ। মান, অভিমান, অহংকার, হিংসের এই পর্ব যদি দুটি মানুষ কাটিয়ে দিতে পারে তখন তাদের মধ্যে এক সেতু-বন্ধন হয়। সব কথা তখন বুঝিয়ে দিয়ে হয় না, চোখে চোখে কথারা নিজেদের অবস্থান খুঁজে নিতে পারে। শরীরে নৈকট্য আসে। মানসিক প্রেম শরীরকে গ্রহণ করে অধিকারের ভীত আরও একটু মজবুত করতে চায়। এই কাছে আসায় এক অদ্ভুত আনন্দ, অন্তত এই নীল গ্রহে একটি প্রাণ ওপর প্রাণকে অধিকারে বাঁধতে চাইছে এই বোধ বাঁধতেও আছে, বাঁধা পড়াতেও আছে। তাই যৌনতা অতি সুন্দর বিষয়, যতক্ষণ না তা কদর্য। মানুষ মাত্রেই তার মধ্যে রুচিশীল এবং রুচিহীন যৌনতা আছে, এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই-ই বাস্তব। কিন্তু রুচিহীন যৌনতা যদি রুচিশীল যৌনতাকে ছাপিয়ে ওঠে তখন কেবল মাংসের উৎসব থাকে। মন এবং মানুষ, কেউই থাকে না।

আমাদের সমাজে এখন কেবল এই রুচিহীন যৌনতার উৎসব। রাষ্ট্র-শক্তির দ্বারা অবদমিত, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন গোষ্ঠীর দ্বারা বিজ্ঞাপিত এই যৌনতা আদতে যৌনতার সুন্দর দিককে আমাদের চোখে নষ্ট করে দেয়। ফলে ক্রমাগত মন অপরাধী হয়ে ওঠে। যে বিষয়টি প্রকৃতির মতোই সুন্দর এবং স্বাভাবিক তা আমরা অপরাধ-বোধ নিয়ে অনুভব করি। এই অবদমিত যৌনতাই আমাদের জীবনে প্রচুর অপরাধের কারণ। এবং এটি একটি ব্যবসায়িক লাভ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে একাধিক সম্পর্ককে স্মার্ট রূপে তুলে ধরা যেমন একটি ব্যবসায়িক চক্রান্ত। এটি একটি বিজ্ঞাপনী কায়দাও। একটি ভালোবাসাকে দীর্ঘদিন ধরে লালন করা, সেটিকে ধৈর্য দিয়ে, যত্ন দিয়ে, অধিকার দিয়ে আগলে রাখা একটি বৃহৎ শিল্প। কিন্তু এই সমাজ শিল্পী নয়, শ্রমিক চায়। শিল্পিতে বিপদ, শ্রমিক কম ভাবে, তাই সে কম বিপদজনক। শ্রমিকের যত্ন করার সময় নেই, কোনকিছুতে সে যদি বিশ্বাস করে তা হল অর্থ এবং উন্নতি। সমবয়স্ক বন্ধুদের মধ্যে এরকম বহু উদাহরণ দেখি যারা কেবল উন্নত চাকরি এবং উন্নত মায়না দিয়ে কিনে নিতে চায় নারী হৃদয়। তাদের ক্ষেত্রে নারী পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং নারী বিনিময় মূল্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরা আধুনিক কারণ এদের কোনও আবেগ নেই। পিছুটান-হীনতাকে এরা আধুনিকতার শ্রেষ্ঠ পরিচয় রূপে জানে। এই ছদ্ম আধুনিকতায় হৃদয়ে এরা কতটা গরীব তা হয়ত এরা কোনোদিন বুঝতেই পারে না।

ভালবাসা কোনও কিনে নেওয়া বিষয় নয়, কোনও মূল্যবান সম্পত্তি নয়। একটা বোধ, তাতে আর যাই হোক স্টেপ জাম্প হয় না। জিতে নিতে হয়, ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। কথাটা শুধু কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে নয়, নারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আসলে নিজেকে কোনও একটি মানুষের জন্য সমর্পণ করতে আমরা ভয় পাই। এই যুগ আমাদের মধ্যে এক খুঁড়োর কল এমন ভাবে লাগিয়ে দিয়েছে যাতে আমরা কেবল অন্ধের মতো অর্জন করতেই শিখেছি। কিন্তু তাতে আদৌ শান্তি পাচ্ছি কিনা, সেটা ভেবে দেখার মতো অবসরও আমাদের নেই। তাই আমাদের এই ছিনিয়ে নেওয়া জীবনে প্রেম বড় দুর্লভ। ভালোবাসা আমারই মতো বিলুপ্তপ্রায়। চিঠি নেই, অপেক্ষা নেই, চিরকুট নেই, চোখে চোখে কথা বলা নেই, একটা আলতো ছোঁয়ায় বুঝিয়ে দেওয়া নেই, কেবল আছে চিৎকার, উল্লাস, প্রেমের প্রকাশ্য-স্থূল উদযাপন এবং নিয়মিত কদর্য যৌনতা। তাতে শিল্প নেই, দুটো শরীরের মিলন নেই। তা ধর্ষণই একপ্রকার। শাস্তি-হীন। এই আধুনিকতায় সকলে সকলের মতো হতে চায়, সকলের মতো প্রেম করতে চায়, আর হতে চায় প্রেমিক এবং প্রেমিকা। বন্ধু হওয়ার কোনও দায় কারো মধ্যে নেই। শুধু এক বুক আত্মবোধ নিয়ে দুটো মানুষ পরস্পরের কাছে থেকেও দুটো ভিন্ন পৃথিবীর বাসিন্দা হয়ে যায়। খোঁজ পায়না একে অপরের মনের।

প্রেম বিবাহে পরিণত হয়, প্রেম অভ্যাসে পরিণত হয়, একে অপরের ছোট ছোট চেষ্টা, আশাগুলো কিছুদিন পর নিজস্ব কবর খুঁজে নেয় অথবা খুঁজে নেয় অন্য কোনো মন। আদতে একটি মানুষকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকাই শ্রেষ্ঠ আধুনিকতা, অন্তত থাকার জন্য লড়াইটা। একান্ত না থাকার মানুষের সঙ্গে থাকা যায়না কিন্তু এই দায়-হীন সমাজ, এই বিশ্বাস- হীন সমাজ ক্রমাগত যে দিকে চলেছে তাতে করে তাকে কোনও সুবিখ্যাত চ্যানেলের সুবিখ্যাত সিরিয়াল বাঁচাতে পারবে না, বাঁচাতে পারবে না কোনও উদ্দাম শহুরে ভালোবাসার উদযাপন।বয়স, সময় নির্বিশেষে প্রতিদিন দুটো মানুষের একে অপরের জন্য আপাত নিরীহ কিন্তু প্রচণ্ড দামী চেষ্টাগুলো, বিশ্বাসগুলোই বাঁচিয়ে রাখতে পারে ভালোবাসা, সম্পর্ক। এই নীল গ্রহে এই ভালবাসাই তো সর্বশ্রেষ্ঠ, যৌনতাই তো সবথেকে সুন্দর সত্যি। এই অবিশ্বাসী সময়ের বুকে, প্রচণ্ড গতিশীল জীবনের গতিশীল সম্পর্ক এবং ব্রেক-আপে তাই বিশ্বাস- একটা আলো আধারি গলি ধরে হটাত হারিয়ে যাওয়া, একটা সুগন্ধি রুমালে কাঁথাস্টিচ, একটা সিগারেটের প্যাকেট হটাত হাওয়া, একসঙ্গে রান্নার মাঝে হটাত একবার এঁটো হাতে জড়িয়ে ধরা এবং একটা স্নান ভেজা শরীরে জড়ানো আঁচলের গন্ধে লেখা- ভালবাসি। ভালোবাসা গভীর নদীর নিঃশব্দে বয়ে চলা। ভালোবাসা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শ্রেষ্ঠ বিশ্বাস, একটা নরম বুকের আশ্রয়।

ভালোবাসার দিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর আগে কলকাতা বেহেভেরিয়াল একাডেমির সমীক্ষায় উঠে এল ভয়াবহ তথ্য।  শহুরে ছেলেমেয়েরা যৌনতার ক্ষেত্রে আর ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেয় না। যৌনতা তাদের কাছে স্বাভাবিক একটা প্রবৃত্তি যা নিরসন করার জন্যে ভালোবাসতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। একাডেমি ৭৬২ জন কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীর ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিল যাদের বয়স ১৫ থেকে ২০ ও ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে।  শতকরা ৬৩ শতাংশ জানিয়েছে যৌনতার সঙ্গে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক নেই। ভালোবাসাহীন ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডে বিশ্বাসী ৫১ শতাংশ।  ভালোবাসার নারী কিংবা পুরুষের সঙ্গেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে তা বিশ্বাস করেন না ৫৮ শতাংশ।  খিদে পেলে ফাস্টফুড খাওয়ার মতোই যৌনতা যে একটি বিষয় তা বিশ্বাস করে ৬২ শতাংশ।  ১৬ বছর বয়স হওয়ার আগেই যৌন সম্পর্ক হয়েছে এমন হার ৫৩ শতাংশ।  কলকাতার বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকদের মনে হয়েছে,  শহুরে ছেলেমেয়েদের কাছে যৌনতা আর ট্যাবু নয়। ভালোবাসাহীন যৌনতায় বিশ্বাসীর সংখ্যাই বেশি।।

পৃথিবীতে যত রকম ভাললাগার অনুভূতি আছে তার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ভালবাসার অনুভূতি৷ ভালবাসা এমন এক অনুভুতি যাকে বর্ণনার জন্য কোন বর্ণ বা ভাষার প্রয়োজন হয় না৷

১০টি সাইকোলজিকাল ফ্যাক্ট: ( তথ্য ইন্টার নেট)

  1. True Love
    মনোবিজ্ঞান বলছে, যখন সত্যিকার অর্থে কারো প্রেমে পড়বেন বা মন থেকে কাউকে ভালবাসবেন তখন আপনার সবচেয়ে বেশি সুখ অনুভূত হবে৷ কারণ এই সময় আপনার মস্তিষ্ক থেকে এম্পডিয়া ও ডোপামিন নামক দুটি হরমোন নিঃসৃত হয় I যা আপনার মস্তিষ্কের ১২ জায়গায় প্রবাহিত হয়ে আপনাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখের অনুভূতি দিবে৷
  2. Impression
    ইম্প্রেশন কে ভালবাসার প্রথম ও শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হয়। কাউকে পছন্দ করতে বা অপছন্দ করতে একজন মানুষের মস্তিষ্ক মাত্র ৪ মিনিট সময় নেয়। তাই আপনি কারো সাথে প্রথম সাক্ষাৎ করতে প্রথম ৪ মিনিটের মধ্যে খুব চমৎকার ভাবে তার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করুনI
  3. Hug
    মনোবিজ্ঞান বলছে হাগ কিংবা আলিঙ্গন আপনার নার্ভাস সিস্টেমে পেইন কিলার হিসেবে কাজ করে। তাই আপনার সঙ্গী কিংবা বন্ধুর মন খারাপ দেখলে তার সাথে আলিঙ্গন করতে ভুলবেন না।
  4. Couple Arguing
    মনোবিজ্ঞান বলছে, কারো ছোটখাটো কোন বিষয়ে রাগ করলে কিংবা মন খারাপ হয় তাহলে বুঝতে হবে তার জীবনে ভালবাসার ঘাটতি রয়েছে | অল্পতেই রাগান্বিত হয় কিংবা অল্পতে গোস্সা হয় এ ধরনের মানুষকে বেশি বেশি করে ভালবাসুন। দেখবেন তার মধ্যে একটা পরিবর্তন কাজ করছে।
  5. Beautiful Face
    মনোবিজ্ঞান বলছে, খুব সুন্দর মুখাবয়ব একটি আকর্ষণীয় বডি ফিটনেস এর থেকে বেশি আকর্ষিত করে। সুতরাং পরবর্তীতে কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে মুখে অবশ্যই একটি মিষ্টি হাসি রাখবেন যেন প্রথম সাক্ষাতেই মানুষের মন জয় করে নিতে পারেন৷
  6. I-Love -You
    এটা জেনে আপনার অবাক লাগতে পারে যে, প্রায় ৯০ শতাংশ পুরুষ প্রথম আই লাভ ইউ বলে প্রপোজ করে। রিসার্চ থেকে পাওয়া গিয়েছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা প্রথমে তাদের ভালোলাগার কথা প্রকাশ করে। আরেকটি মজার তথ্য হলো, নভেম্বর মাসে আই লাভ ইউ কথাটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়।
  7. Love+Love= Happy Life
    যখন আপনি রোমান্টিক মুডে থাকেন তখন আপনার মস্তিষ্ক কম কাজ করে৷ মনোবিজ্ঞান বলছে, যিনি রোমান্টিক রিলেশনশিপ মেইন্টেইন করেছেন তিনি অনেক সুখি জীবন পার করেছেনI এই ধরনের মানুষদের কাছে ডিপ্রেশন কিংবা হার্ট অ্যাটাক এর মত রোগ ধারের কাছেও আসতে পারে না৷
  8. Eye Contact Theory
    কোন অপরিচিত মানুষের সাথে তিন থেকে চার মিনিট আই কন্টাক্ট কন্টিনিউ করতে পারলে আপনি একে অপরের মধ্যে একটি ইমোশনাল কানেকশন অনুভব করতে পারবেন৷ আর যদি আপনার পার্টনারের সাথে ৪ মিনিট আই কন্টাক্ট কন্টিনিউ করতে পারেন তাহলে আপনার এবং আপনার সঙ্গিনীর হার্ট বিট একই গতিতে চলতে থাকবে। এটি একটি ম্যাজিক্যাল লাভ। যার ব্যাখ্যা এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞান দিতে পারেনি।
  9. Meeting in Dangerous place can increase the chance of Attraction
    গবেষণা বলছে আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সাথে কোন ভয়ানক স্থানে মিলিত হন তাহলে স্বাভাবিকের তুলনায় একে অপরের প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করবেন। বিজ্ঞানীরা এটা প্রমাণ করার জন্য কিছু এক্সপেরিমেন্ট করেছেন যেমন, স্কাই রাইড, হরর মুভি ইত্যাদি। রিসার্চে প্রমাণিত হয়েছে, ভয়ানক পরিস্থিতির পর একে অন্যের প্রতি পূর্বের তুলনায় বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। কারণ ভয়ানক মুহূর্তে আপনার মস্তিষ্ক থেকে (Dopamine love) নামক হরমন নিঃসৃত হয়। যদি আপনার পার্টনারের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ করতে যান তাহলে পার্ক অথবা হরর মুভি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে।
  10. The Magical Love Touch
    একটি রিসার্চে ১০ জন রোগীর সাথে তাদের ভালোবাসার মানুষকে রাখা হয়েছিল আর বাকি ১০ জনের সাথে কিছু স্পেশালিস্ট ডাক্তার রাখা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, যে রোগীদের সাথে তাদের ভালোবাসার মানুষ ছিল তারা তুলনামূলকভাবে অন্য রোগীদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে৷ কারণ মনোবিজ্ঞান বলছে, আমাদের ৭০% রোগ মনের সাথে সম্পর্কিত। আমাদের হাসি খুশি মন সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার সঙ্গী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওষুধের পাশাপাশি বেশি বেশি ভালবাসুন, তাকে সঙ্গ দিন, সিকিউর ফিল করান দেখবেন সে স্বল্প সময়েই সুস্থ হয়ে উঠবেI