
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে (এলডিসি) উত্তরণের জন্য ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে সরকার।
উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে রূপান্তর প্রক্রিয়াকে মসৃণ করার পরিকল্পনা বা স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস) বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, আজ (২৭ মার্চ) উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ এই কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে এলডিসি উত্তরণকে মসৃণ ও টেকসই করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এসটিএস কর্মকৌশল অনুমোদন ও প্রকাশ করা হয়েছে। এই কর্মকৌশল বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ছয় সদস্যের বিশেষ কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে। অপর পাঁচ সদস্য হলেন—বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি অনুবিভাগ) মো. আবদুর রহিম খান, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেসন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এবং বিআইডিএসের অর্থবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ইকবাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এলডিসি থেকে উত্তরণের দিন ঠিক আছে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালে এলডিসি তালিকায় যুক্ত হয় বাংলাদেশ। এলডিসিভুক্ত দেশ হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য-সুবিধাসহ নানা সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এই সুবিধা আর থাকবে না। তাই ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ব্যবসায়ীদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছিল। ১১ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে) আনিসুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের এমন ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন।
তবে ১৩ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সময়সীমা না পিছিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এলডিসি থেকে উত্তরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়