আলকামা সিকদার, টাঙ্গাইল :
একই জমিতে তিন ফসল, এ যেন এখন কৃষকের কাছে এক বাস্তবতা। প্রতি বছরই এখন কৃষকরা এক জমিতে তিন ফসল আবাদ করছেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের কুড়িবাড়ি গ্রামের কৃষক, ডাক্তার শফিকুল ইসলাম এবার তার একই জমিতে তিন ফসলি হিসবে আমন মৌসুমে আবাদ করছেন উন্নত মানের গোল্ডেন জাতের ধান। তিনি এ মৌসুমে প্রায় দশ বিঘা জমিতে এ গোল্ডেন জাতের ধান আবাদ করেছেন। এবং দারুণ ভাবে সফলও হয়েছেন।
তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে এ জাতের ধান প্রায় ত্রিশ মন উৎপাদন হয়ে থাকে। অন্যান্য ধানের চেয়ে এ ধান আবাদে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিক খরচ কম লাগে। এ ধান আবাদের পর সময়মতো সিরষার আবাদও করা যায়। তাই সুবিধাজনক ভাবেই এক জমিতে তিন ফসল আবাদ এখন অনেকটা সহজ হয়েছে।
নাইম ইসলাম জানান, তার মামা একজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হয়েও কৃষিতে তার ব্যাপক আগ্রহ। তিনি জমিতে আবাদের জন্য নতুন নতুন জাত এনে থাকেন। এবার তিনি উন্নত মানের গোল্ডেন জাতের এ ধান আবাদ করেছেন। এবং একই জমিতে আমার দেখা মত তিন ফসল আবাদ করছেন।আর এ তিন ফসল আবাদে তিনি সফও হয়েছেন। তার এ আবাদ দেখে এখন আমরা এলাকাসী তিন ফসল আবাদে আগ্রহী হচ্ছি।
কৃষক মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমরা দেখছি ডাক্তার শফিকুল ইসলাম সাহেব তার জমিতে নতুন এই ধান আবাদ করেছেন। অনেক ফলনও পাইতেছে। দেখতেও সুন্দর। তারচাইতে বড় সুবিধা হলো এই ধান রোরো, আউশ,আমন তিন মৌসুমে একই ভাবে আবাদ হয়। তাই এই আবাদে এখন আমরাও আগ্রহী।
উপসহকারী কৃষি অফিসার,মো. আনিসুর রহমান জানান, মধুপুরে ডাক্তার শফিকুল ইসলামই প্রথম গোল্ডেন জাতের এ ধান আবাদ করেছেন। আমরা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও রোগবালাই দমনের জন্য পরামর্শ প্রদান করে আসছি। আমার দেখা মতে এ ধানে ফলন অনেক ভালো। তাই আগামীতে গোল্ডেন জাতের ধান কৃষকের মাঝে সম্প্রসারণ করতে পারলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষক লাভবান হবে বলে আমার বিশ্বাস।