রাজনৈতিক দলের বিচারে সুপারিশ করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দলগুলোর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বিচারের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে সুপারিশ করতে পারবে, তবে সরাসরি শাস্তির ক্ষমতা দেওয়া হবে না। ট্রাইব্যুনাল যদি মনে করে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। তবে এই সুপারিশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ওপর নির্ভর করবে।

এদিকে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবে ট্রাইব্যুনালকে সরাসরি শাস্তির ক্ষমতা না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আদালত যদি মনে করে, তবে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, এই খসড়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি উপদেষ্টা পরিষদের সম্মতির পরই কার্যকর হবে।

এছাড়া, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য রোম স্ট্যাটিউটসহ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের সুপারিশের আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করা হচ্ছে।

আইন উপদেষ্টা আরও জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়ের করা প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার কোনো দমনপীড়ন চায় না, তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।

এছাড়া, গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থন এবং বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।