চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে পাহাড় ও রাস্তা কেটে তৈরি হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ টার্মিনাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের বিমানবন্দর সড়কের যানজট এড়াতে পতেঙ্গা-ফৌজদারহাট আউটার রিং রোড করা হলেও এখানে অবৈধ ট্রাক-লরি টার্মিনাল তৈরি করছে একটি চক্র। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছে এই সড়কটি। একটি চক্র রাতের আঁধারে দক্ষিণ হালিশহর চৌধুরী পাড়া এলাকায় সড়কের রেলিং কেটে বিভিন্ন পাহাড় ও টিলা থেকে মাটি কেটে এনে এবং ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করে সরকারি জায়গা দখল করার পাঁয়তারা করছে। তবে বিষয়টি দেখেও যেন অদৃশ্য কারণে না দেখার ভান করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, রিং রোড চালুর পর থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করছে এই সড়কে। তবে এই রোডকে কেন্দ্র করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সরকারি জায়গা দখল করে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সক্রিয় হয়েছে উঠেছে। এমনই একটি চক্রের প্রধান আরিফ। রাতের আঁধারে তারা রোডের রেলিং কেটে মাটি ভরাট করে টার্মিনাল তৈরি করছে। চক্রের প্রধান আরিফ রাতের অন্ধকারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রিং রোডের রেলিং কেটে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করে অবৈধভাবে টার্মিনাল স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এসব কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাদের ভাড়াটে বাহিনী। এসব বাহিনীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে তারা অবৈধভাবে দখলদারি করে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, পতেঙ্গা-ফৌজদারহাট রিং রোডে যান চলাচল বাড়ার সাথে অসাধু চক্রের নজর পড়েছে। আরিফ চক্রসহ দখলদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দিন দিন রোডটি জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। চট্টগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে নির্বিঘ্নে চলাচল নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোমানা আক্তার বলেন, পাহাড় ও টিলা কাটার বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। নিয়মিত আমাদের টহল টিম বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। আমি নিজেও বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ও টিলা কাটার বিরুদ্ধে পরিদর্শনে যাচ্ছি। পাহাড় বা টিলা কেটে কোথাও মাটি নেওয়া হলে কিংবা অবৈধ টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

হালিশহর থানার ওসি বলেন, রাস্তা কেটে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ টার্মিনাল বানানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি দেখছি। এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

অভিযুক্ত আরিফের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে মাটি ভরাট করতে যাওয়া জাবেদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। আমি এখানে রাবিশ ভরাটের কন্ট্রাক্টর। আরিফ আমাকে এখানে রাবিশ ফেলতে বলেছে। কন্ট্রাক্টর হিসেবে আমি সেখানে রাবিশ ফেলেছি। এছাড়া আমি আর কিছু জানি না।