পেয়ার ইসলাম নূরউদ্দিন:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘ভোলার গ্যাস ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব রয়েছে। এরমধ্যে ভোলায় পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে আরো পাওয়ার প্ল্যান্ট করা যায় কি না। বিষয়টি নিয়ে শিল্প উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে একটি সার কারখানা করা যায় কি না, সেটিও দেখব। এছাড়া এখানে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল কিংবা রপ্তানিমুখী অঞ্চল করারও প্রস্তাবনা রয়েছে। এটি করলে এখানকার মানুষ উপকৃত হবে। এ সবগুলো সম্ভাবনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘ভোলায় শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে স্থানীয় লোকজনের কর্মসংস্থান হবে। ভোলার উন্নয়ন হবে। আমি শিল্প উপদেষ্টাকে ভোলায় এসে ঘুরে যেতে বলব। এটিই হবে ভোলার গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার।’
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা-১ গ্যাস কূপ ও প্রস্তাবিত ভোলা নর্থ প্রসেস প্ল্যান্ট এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে। এরমধ্যে ২০২৫ সালে ৫টি এবং ২০২৮ সালের মধ্যে ১৪টি কূপ খনন করা হবে এবং উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এ গ্যাসকূপ খননের জন্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হবে। আগের মতো একক কোনো প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের দরকার প্রায় চার হাজার এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস। সেখানে আমাদের স্থানীয় গ্যাস ও আমদানি করা গ্যাস মিলিয়ে রয়েছে প্রায় তিন হাজার এমএমসিএফ গ্যাস। ঘাটতি মেটাতে আমাদের বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করি।’
তিনি জানান, আজকে আমার ভোলায় আসার উদ্দেশ্য হলো এখানে আরো গ্যাস পাওয়া যায় কি না, সেটার সম্ভাবনা দেখা এবং এখানে আর কী করলে আরো বেশি গ্যাস পাওয়া যাবে সেটি দেখা। সাধারণত এক জায়গায় গ্যাস পাওয়া গেলে তার আশপাশে গ্যাস পাওয়া যায়। এছাড়া ভোলায় যে গ্যাস মজুদ আছে সেটিরও পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। সেটাকে কিভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায়, সেটিও বিবেচনা করব।
ভোলার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও লোডশেডিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন এবং তার সঙ্গে থাকা বিদ্যুৎসচিব ফারজানা মমতাজকে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করে ভোলায় একটি সাব-স্টেশন করার নির্দেশ দেন। যাতে করে ভোলায় কোনোভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট না থাকে।
এসময় তার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।