গত বছর জাহের উদ্দিনের পারিবারিক চক্রের বিষয়টি উঠে আসে দুদকের অনুসন্ধানেও। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমানের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলে পারিবারিক সিন্ডিকেটের বিষয়টি।দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী কোনো ঠিকাদার বা অন্য কেউ রেহাই পাবেন না। তাদের জন্য আমাদের মেসেজ হচ্ছে— এগুলো বন্ধ করেন। তা না হলে আপনাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। ইতিমধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও অনুসন্ধান কমিশনে চলমান রয়েছে।’
জাহের উদ্দিন সরকারের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর বেতদীঘি ইউনিয়নের হরগোবিন্দপুর গ্রামে। বাবার নাম আবদুস সাত্তার সরকার। জাহের বেতদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
তার এক স্ত্রীর বাবার বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে। আরেক স্ত্রীর বাবার বাড়ি একই জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায়। জাহেরের ছোট স্ত্রী থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়, আর বড় স্ত্রী থাকেন দেশে। ঠিকাদারির মাধ্যমে আয়ের অর্থের বড় একটি অংশ জাহের অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতাপশালী ঠিকাদার জাহের উদ্দিন সরকার একসময় ছিলেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর বেতদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দিনাজপুর-রংপুর অঞ্চলের স্কুলে স্কুলে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী রাজধানীর পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে নিজের বিদ্যালয়ের জন্য সরঞ্জাম কেনার সুবাদে পরিচয় হয় জাহেরের। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে জোট বেঁধে দিনাজপুর-রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ শুরু করেন জাহের। তার কোম্পানির নাম দেন বেঙ্গল সায়েন্টিফিক। সেই থেকে তিনি ‘বেঙ্গল জাহের’ নামে পরিচিতি পান। এরপর বেঙ্গল জাহের একসময় ঢাকায় আসেন তারই পাশের জেলা রংপুরের এক ঠিকাদারের হাত ধরে। তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। চতুর জাহের পরে নিজেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঠিকাদারি শুরু করেন। নাম দেন বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোং লি.। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঠিকাদারির নামে সরঞ্জাম সরবরাহ না করেই অর্থ আত্মসাৎ এবং নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন একসময়ের স্কুলশিক্ষক জাহের উদ্দিন। বাবা আবদুস সাত্তার সরকার, ছেলে আহসান হাবীব, ভগ্নিপতি আসাদুর রহমান এবং শ্বশুরসহ পরিবারের আরও কয়েকজনের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে ঠিকাদারির ‘পারিবারিক চক্র’ গড়ে তোলেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করেই ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা আত্মসাৎ করেছে জাহের পরিবার। এই অভিযোগে বাবা, ছেলে, নাতি ও ভগ্নিপতিকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৯ সালেই জাহের পরিবারের বিরুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচটি মামলা করেছে দুদক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে সাবেক স্কুলশিক্ষক জাহেরের সম্পদের পরিমাণ কত তার সঠিক তথ্য না পাওয়া গেলেও দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঠিকাদার চক্র গঠন করে জাহের এখন শতকোটি টাকার মালিক। ঢাকা ও দিনাজপুরসহ দেশে-বিদেশে রয়েছে তার সম্পদের পাহাড়। তিনিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত হওয়া হিসাবরক্ষক আবজালের মতো বিপুল সম্পদের মালিক। আর আবজালেরই হাত ধরে পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
দুদকের সুপারিশের পর গত ১৪ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে ১৪ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে তার ৩টি বেঙ্গল জাহের পরিবারের। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক), সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহ এবং সরঞ্জাম সরবরাহ না করেই বিল তুলে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে জাহেরের বিরুদ্ধে। জাহের উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আরও অনুসন্ধান চলমান আছে দুদকে।
জাহের উদ্দিন পরিবারের ৫-৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ঢাকার বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোং-এর স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী তার বাবা মো. আবদুস সাত্তার সরকার ও ছেলে আহসান হাবীব সরকার। জাহেরের ভগ্নিপতি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর আসাদুর রহমান ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের মালিক। এর বাইরে শ্বশুরসহ আরও কয়েকজন আত্মীয়ের নামে জাহেরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমডি) বিদায়ী পরিচালক (ভান্ডার ও সরবরাহকারী) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ গত ৩০ মে জনপ্রশাসন সচিবকে লেখা এক চিঠিতে সিএমএসডিসহ গোটা স্বাস্থ্য খাতকে ‘সিন্ডিকেট বাণিজ্যমুক্ত’ করার অনুরোধ জানান। চিঠিতে স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বেঙ্গল সায়েন্টিফিকের জাহের উদ্দিন সিন্ডিকেটের আধিপত্যের কথা তুলে ধরেন। এই সেনা কর্মকর্তা সিএমএসডির ক্রয় প্রক্রিয়ায় সরকারি এবং সাপ্লাইয়ার (ঠিকাদার) পরিবেষ্টিত দুষ্টচক্র বা সিন্ডিকেট বাণিজ্যের আধিপত্য সম্পর্কে লিখেছেন, স্বাস্থ্য খাতে ঠিকাদার চক্রের মধ্যে বেঙ্গল সায়েন্টিফিকের জাহের উদ্দিন উল্লেখযোগ্য। এই চক্র বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বিশেষত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাজেট সংগ্রহসহ প্রকিউরমেন্ট প্ল্যান তৈরি এবং তাদের দেওয়া প্রকিউরমেন্ট লিস্ট অনুযায়ী সিএমএসডিতে কাজ বাগিয়ে নিতে আধিপত্য বিস্তার করে। যা তারা দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছে। এতে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিম্নমানের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সরবরাহ হচ্ছে। যেহেতু সিএমএসডির সকল ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে সেহেতু সেসব স্থানে তাদের পছন্দনীয় কর্মকর্তা বদলি করে আনায় হাত রয়েছে। এমনকি ক্রয় প্রক্রিয়া তাদের মনঃপূত না হলে ক্রয় বাতিল/দীর্ঘায়িত করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ওইসব কর্মকর্তা। প্রয়োজনবোধে কর্মকর্তার বদলিসহ বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়।
গত বছর জাহের উদ্দিনের পারিবারিক চক্রের বিষয়টি উঠে আসে দুদকের অনুসন্ধানেও। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমানের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলে পারিবারিক সিন্ডিকেটের বিষয়টি। দুদকের এই কর্মকর্তা রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলেন, ‘রমেকের ভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেজন্য অধ্যক্ষ ডা. নূর ইসলাম বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন কমিটি গঠন করেন। তিনি যথাযথ চাহিদা ও স্পেসিফিকেশন ছাড়াই দরপত্র আহ্বান করেন। তার পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানিকে’ কার্যাদেশ দেন। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালের ২১ জুন দরপত্র মূল্যায়ন করে একই তারিখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নোটিফিকেশন অব এওয়ার্ড দেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন। ওই বছর ২৩ জুন কার্যাদেশ দেন। কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ প্রাপ্তির পঞ্চম দিনে ২৭ জুন ২০১৮ তারিখে কার্যাদেশ অনুযায়ী যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করে বিল দাখিল করেন। ২৭ জুন তারিখেই বিল পাস ও প্রশাসনিক অনুমোদনসহ ব্যয় মঞ্জুরি ছাড়াই বিল স্বাক্ষর করে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দেন। এভাবে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোং-এর স্বত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকারকে কলেজটির অধ্যক্ষ নূর ইসলাম ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা আত্মসাতে সহায়তা করেন।’
অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ও দরপ্রস্তাব দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল জাহেরের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যালের জাহের উদ্দিন সরকার ছাড়াও সেখানে দরপত্র জমা দেন বাবা আবদুস সাত্তার সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ছেলে আহসান হাবীবের মার্কেন্টাইল ট্রেড এবং জাহেরের বোন জামাই মো. আসাদুর রহমানের প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশন। তারা পরিচয় গোপন করে পরস্পর যোগসাজশে জোট গঠন (সিন্ডিকেট) করে সাজানো দরপত্র দাখিল করেন। কার্যাদেশের শর্তানুযায়ী যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করে অপ্রয়োজনীয় ও নিম্নমানের ব্যবহার অনুপযোগী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে সরকারের প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে দুদক জাহেরের পরিবারের চার সদস্য ছাড়াও রমেকের অধ্যক্ষ নূর ইসলাম ও বাজার দর কমিটি, দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও সার্ভে কমিটির সদস্য সচিব রমেকের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সারোয়াত হোসেনকে আসামি করে মামলা করে। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
সামেকের ৬ কোটি টাকা আত্মসাতে মামলা : জাহের পরিবারের সদস্যরা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করে ভুয়া বিল দেখিয়ে ৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান। এই মামলায় জাহের উদ্দিন সরকার, তার বাবা আবদুস সাত্তার সরকার ও ছেলে মো. আহসান হাবীব, ভগ্নিপতি আসাদুর রহমান এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ শাহজাহান আলীকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতে মামলা : চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বাড়তি দামে যন্ত্রপাতি কিনে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাহের উদ্দিন সরকারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ নভেম্বর মামলা করে দুদক।
সাতক্ষীরায় আরও ১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ঠিকাদার ছিল জাহের উদ্দিনের বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি। যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করেই কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন প্রভাবশালী এই ঠিকাদার। সাতক্ষীর সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৃথক দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৯ সালের ৯ জুলাই মামলা হয়েছে ঠিকাদার জাহের উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্য বিভাগে দুদকের অভিযান শুরু হওয়ার পর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। জাহের ও আবজালকে মাঝে মাঝে দেশটির সিডনি শহরে একসঙ্গে দেখা যায় বলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন। মাঝেমধ্যে তারা একসঙ্গে মাছও শিকার করেন।
দিনাজপুরের একজন সাংবাদিক বলেন, ‘জাহের বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডিনিতে আছেন। এরকম একজন দুর্নীতিবাজ দেশ থেকে পালিয়ে যায় কী করে! সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।’
দুদকের বক্তব্য : স্বাস্থ্যের ঠিকাদার চক্রের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী কোনো ঠিকাদার বা অন্য কেউ রেহাই পাবেন না। তাদের জন্য আমাদের মেসেজ হচ্ছে— এগুলো বন্ধ করেন। তা না হলে আপনাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। ইতিমধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও অনুসন্ধান কমিশনে চলমান রয়েছে।’