চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানির কমিটি পুনর্গঠন

চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭ এর ৭ এর অনুচ্ছেদ ৬ মোতাবেক চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানির সুপারিশ প্রদানের জন্য ১২ সদস্যের কর্মকর্তা ও ব্যক্তির সমন্বয়ে নির্দেশনাক্রমে এ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

আজ (২ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহবায়ক করে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির প্রশাসক, বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা আবিদ মল্লিক, চলচ্চিত্র সাংবাদিক শিবলী আহমেদ ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে এ কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।

জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭ এর ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র রপ্তানি ও বিদেশি চলচ্চিত্র বাংলাদেশে আমদানির ক্ষেত্রে সমতার নীতি গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হবে বিদেশে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বাজার তৈরি, সম্প্রসারণ এবং দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার। সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন, বিধি ও আদেশ অনুযায়ী সরকারের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। এ অনাপত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে রপ্তানির জন্য প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রের বিষয়, কারিগরি ও নান্দনিক মান বিচার করে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্র বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে পারবে কি না এবং বিদেশে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বাজার সৃষ্টি বা সম্প্রসারণে সহায়ক হবে কি না এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

বিগত বছরগুলোতে উপরোক্ত নীতিমালা মেনে ছবি আমদানি-রপ্তানির খবর তেমন পাওয়া যায়নি। তবে সাফটা চুক্তি অনুসারে ভারত থেকে সিনেমা এনে নিয়মিত বাংলাদেশে চালানো হতো। যদিও ভারত থেকে আনা নতুন সিনেমার বিনিময়ে বাংলাদেশের পুরোনো সিনেমা পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে। ভারতের নামসর্বস্ব কিছু প্রেক্ষাগৃহে সেসব ছবি চালানো হতো বলে জানা গেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সিনেমা ভারতে চালানো হতো না।