‌‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না’

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন: জামায়াত ক্ষামতায় গেলে হিন্দুদের লাভ বেশী, কারণ জামায়াতে ইসলামী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। আপনাদেরকে কেউ কোনঠাসা করে রাখবে, ট্যাগ দিয়ে রাখবে, মতের স্বাধীনতা দিবে না- এ সুযোগ আপনারা দিবেন না। আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা নেতৃবৃন্দের সাথে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময় সভা শনিবার সকালে নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজ শহীদ মুন্তাসির গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামি নাঙ্গলকোট উপজেলা আমীর মাওলানা জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামি ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামি কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত।

এসময় তিনি বলেন: জামায়াতে ইসসামী মানবতাবাদী সংগঠন, গণমাধ্যম ও আপনারা আমাদেরকে ভিন্ন ভাবে জানতেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে এটি দেশী-বিদেশী একটি গোষ্ঠী চায় না। আপনারা অশান্তিতে থাকলে কাদের রাজনৈতিক লাভ হয় তা আপনাদের অজানা নয়। হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ নয়, তারা আপনাদের সবসময় বিভক্ত করে রাখতো। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা শতভাগ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা বলেন: জামায়াতের একজন কর্মী পর্যন্ত সংগঠনের আনুগত্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। এদেশে সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু বলতে কোন কিছু নেই, সকলেই এ মাটির সন্তান জামায়াতে ইসলামি সেটা নিশ্চিত করবে। কেন আপনাদের মন্দির, বাড়িঘর পাহারা দিতে হবে? আমাদের মুসলমানের মসজিদ যেমন পাহারা দিতে হয় না, আপনাদের মন্দিরও তেমনি পাহারা দিতে হবে না, জামায়াত সেটি নিশ্চিত করবে। আপনারা আমাদের প্রতিবেশী, আমরা একই জায়গায় বসবাস, ব্যাবসা ও বিভিন্ন বিষয়ে একসাথে সমাধান করি, ধর্মীয় জায়গায় কেন বিভেদ পোষণ করবো। বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রে আপনারা সচেতন থাকবেন। আমরা দেশকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম সবার নিরাপদ জনপদে পরিণত করবো। আমরা সেবা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকবো।

জামায়াতে ইসলামি নাঙ্গলকোট পৌরসভা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি বাবু জীবন কৃষ্ণ গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব মজুমদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন চন্দ্র দে, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম, পৌরসভা জামায়াত আমীর মাওলানা এস এম মহি উদ্দিন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি রাজিব কিশোর দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা সিনিয়র উপদেষ্টা মাস্টার গৌরঙ্গ মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভ্রত সাহা শুভ, সদস্য রাজন, জামায়াতে ইসলামি নাঙ্গলকোট উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আলী, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম হাছান, সহ-সেক্রেটারি মাওলানা এয়াছিন মজুমদার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি ওমর ফারুক মিয়াজী, পৌরসভা সভাপতি মাস্টার সোলাইমান, নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজ গ্রন্থাগারিক এ.টি.এম জিয়াউল হক জিয়া, উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।