রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে অতিরিক্ত ১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক পাশ্ব বৈঠকে এই ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

নতুন সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) থেকে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার এবং পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রায় ৭০ মিলিয়ন ডলার।

মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়া ৬ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার জরুরি প্রয়োজন মেটানোই এই সহায়তার লক্ষ্য। ইউএসএআইডি’র সহায়তায় মার্কিন কৃষি বিভাগের কমোডিটি ক্রেডিট কর্পোরেশন থেকে ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ এই সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২শ’ ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশকে। এরমধ্যে ২শ’ ১০ কোটি ডলার বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সংকট কবলিত রোহিঙ্গা জনগোষ্টির পাশে দাঁড়াতে এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য আন্তর্জাতিক দাতা দেশগুলোকেও একই ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। এদের বেশিরভাগই মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভিযানে ফলে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত করাকে ‘জাতিগত নিধন হিসেবে’ অভিহিত করেছে। অন্যান্য মানবাধিকার গোষ্ঠী এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

তবে গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত যায়নি।

মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলেও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আস্থার ঘাটতির কারণে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা দু’বার ব্যর্থ হয়েছে।