করোনার হানায় ইউরোপের বসন্ত উৎসব

কয়কেনহফের টিউলিপ উৎসব
ইউরোপের বাগান নামে পরিচিত নেদারল্যান্ডসের কয়কেনহফ৷ শহরটির টিউলিপ পার্কে প্রতি বছর নানা প্রজাতির অন্তত ৭০ লাখ টিউলিপ চাষ করা হয়৷ লাখ লাখ পর্যটক কেবল এই বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন এই ছোট্ট শহরে৷ দিনের শেষে রঙিন আয়োজনে প্যারেডও এর অন্যতম আকর্ষণ৷ তবে এবার টিউলিপ ফুটবে ঠিকই, দেখার জন্য আসবে না কেউ৷
এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে জুন মাস পর্যন্ত লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে চলে এই ফুলের মেলা৷ বাগান সাজানোর উদ্ভাবনী শিল্প, নানা রঙের ফুলের বাহার এবং অদ্ভুত সব বিরল উদ্ভিদ শোভা পায় এইসব প্রদর্শনীতে৷ তবে এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাবে বাতিল করা হয়েছে প্রায় সব আয়োজন৷
কিংস ডে

২৭ এপ্রিল নেদারল্যান্ডসের রাজার জন্মদিন৷ আর এই দিনটিকে কমলা পোশাকে সেজে নেচে-গেয়ে উদযাপন করে ডাচরা৷ কিন্তু এ বছর এই উদযাপন হচ্ছে না৷ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরনের বড় সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে এবার নেদারল্যান্ডসের রাস্তাঘাটে কোনো দোকানপাট বা সঙ্গীত আয়োজন হবে না, খালগুলোতেও ভাসবে না রঙিন নৌকা৷
প্রাগ বসন্ত উৎসব

ক্লাসিক্যাল মিউজিক ও অপেরা ভক্তদের জন্য অন্যতম এক আকর্ষণ প্রাগ স্প্রিং ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল৷ বিশ্বের সব নামীদামি মিউজিশিয়ান ও অর্কেস্ট্রা এই আয়োজনে প্রতি বছর যোগ দেয়৷ এ বছর ৭ মে থেকে শুরু করে ৪ জুন পর্যন্ত চলার কথা ছিল আয়োজনটি৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চেক প্রজাতন্ত্রে চলছে জরুরি অবস্থা৷ বাতিল করা হয়েছে সব বড় আয়োজন৷ ফলে এই উৎসবও পড়েছে হুমকির মুখে৷
ইস্টার আয়োজন

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য ইস্টার অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব৷ কিন্তু ১২ এপ্রিল ইস্টার সানডেতে এবার বেশিরভাগ দেশই করতে পারছে না বড় কোনো আয়োজন৷ করোনা ভাইরাসের কারণে ইউরোপ-অ্যামেরিকার প্রায় প্রতিটি দেশই রয়েছে লকডাউনে৷ ফলে একেবারেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই সীমিত থাকছে এবারের আয়োজন৷ এমনকি এবারই প্রথম ভ্যাটিকান সিটিতে জনসমাগম ছাড়াই প্রার্থনা করবেন পোপ৷
ভাইকিং উৎসব

প্রতি বছর মে মাস থেকে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে শুরু হয় মধ্যযুগের উৎসব, ভাইকিং ফেস্টিভ্যাল৷ নিজেদের ঐতিহ্য আর পূর্বপুরুষদের প্রতি সম্মান জানিয়ে অনেকেই সাজেন ভাইকিং যোদ্ধাদের সাজে৷ তবে অন্য সব ইউরোপীয় দেশের মতো নরওয়েতেও সংক্রমণ ঘটেছে করোনা ভাইরাসের৷ স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে, সব ধরনের আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে এ উৎসবের আয়োজনও পড়েছে হুমকির মুখে৷