গাইবান্ধার কৃষকদের পাশে দাঁড়ালো দেশের সর্ববৃহৎ সুপারশপ চেইন ‘স্বপ্ন’। সম্প্রতি জেলার একজন চাষী টমেটো ভাল ফলন পেলেও মূল্য না পাওয়ায় ২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। এই বিপদগ্রস্ত চাষীর হাহাকারের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তার সব টমেটো তারা ন্যায্যমূল্যে কিনে নেন।
উত্তরের জেলা গাইবান্ধার কৃষকরা হাড়ভাঙ্গা শ্রম দিয়ে জমিতে উৎপাদন করছে মরিচ, পেয়াঁজ, রসুন, করলা, টমেটো, পটল ও মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল। কিন্তু বর্তমান সময়ের করোনাভাইরাস তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। কয়েক বছর ধরে এ জেলায় সবজি চাষ করে যারা সাবলম্বী হয়েছেন এবার তাদের কপালে দুঃচিন্তার ভাঁজ পড়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের কৃষক আমির হোসেন গত মঙ্গলবার এক গণমাধ্যমের ভিডিওবার্তায় জানান, লকডাউনের কারণে তিনি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মাঝে দুই টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। তবে এবার তার পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বৃহৎ রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’। ন্যায্য দামে তার টমেটো এরই মধ্যে কিনে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আমির হোসেন বলেন, ভিডিওটি দেখার পর ‘স্বপ্ন’ কোম্পানীর প্রতিনিধি রুবেল ভাই এসে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আমার বাগানের টমেটো সঠিক দামে কিনে নেন। গাইবান্ধায় লকডাউন চলছে, এরইমধ্যে তারা এসে যে আমার ফসল কিনেছেন এজন্য সমস্ত কৃষকের পক্ষ থেকে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অন্যদিকে ‘স্বপ্ন’ টাঙ্গাইল, পঞ্চগড়সহ দেশের অনেক জায়গার কৃষক হতে ফসল কিনছে।
‘স্বপ্ন’ এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির এ প্রসঙ্গে বলেন, কৃষকের পাশে শুরু থেকেই আছি আমরা। তাদের মুখে হাসি আমরা সবসময়ই দেখতে চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ‘স্বপ্ন’। এরই ধারাবাহিকতায় আমির হোসেনের মত অনেক কৃষকের জন্য বর্তমানে কাজ করছি আমরা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘স্বপ্ন’ তাদের পণ্য ন্যায্য দামে এরইমধ্যে কেনা শুরু করেছে।