হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ প্রতিনিধি: মিয়ানমার থেকে নাফনদী দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবার চালান পাচারকালে পৃথক ঘটনায় ৩ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছেন বিজিবির সদস্যরা। তবে এ সময় তারা কাউকে আটক করতে পারেনি।
শুক্রবার রাত ১১টা ও শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া সংলগ্ল আলুগোলার মৎস্য খামার এলাকা থেকে পৃথক ভাবে ইয়াবার চালান দুটি জব্দ করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ।
বিজিবি সূত্র জানায়,শুক্রবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া সংলগ্ল আলুগোলার মৎস্য খামার এলাকা দিয়ে তিনজন লোককে তিনটি কালো পলিথিনের ব্যাগ হাতে নিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করার সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করেন। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই তিনজন তাদের হাতে থাকা তিনটি পলিথিনের ব্যাগ ফেলে দৌড়ে নাফ নদীর পার্শ্বে কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যান। পরে টহলদল তিনটি বস্তা উদ্ধার করলে সেখানে ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। অভিযান শেষ করে টহল দল ফেরত আসার সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আরও একটি চালান পাচার হতে পারে। সেই সূত্র ধরে, বিজিবির টহলদল কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেন।
শনিবার সকালে ওই সময় নাফ নদী পার হয়ে তিনজন ব্যক্তিকে একটি প্লাষ্টিকের বস্তা কাঁধে নিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে যাবার সময় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে পাচারকারিরা বিজিবির টহলদলের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই তাদের কাঁধে থাকা বস্তাটি ফেলে দিয়ে মাছের খামারে অনেক শ্রমিকের কাজের সুযোগে দ্রুত দৌড় দিয়ে নাফ নদীর কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যান। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি করলে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া বস্তার ভিতর থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। তবে দুটি ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, জব্দ করা পৃথক দুটি অভিযানে মালিকবিহীন ইয়াবা বড়িগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের জমা রাখা হয়েছে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে এসব ধ্বংস করা হবে।