তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো দলকে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছে এবং সরকার (ক্ষমতাসীন) দল অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো নির্বাচনে একটি দল। কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়।’
শনিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিধি ১৪৭-এর অধীন উপস্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার নানা ষড়যন্ত্র চলছে এবং সংসদে অংশগ্রহণ না করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও সংসদ সচল রাখতে এবং সংসদীয় গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে যে কোনো দল নির্বাচনে আসুক বা না আসুক, যথাসময়ে নির্বাচন হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সব দলই নির্বাচনে অংশ নেবে। কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়া সরকারের দায়িত্ব নয়।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে।
‘তবে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে, সংসদকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে চাইলে এই সংসদে জনগণের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আলোচনা হতে হবে।’
তিনি বলেন, দলের প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে কিন্তু রাষ্ট্র ও জনগণ দলের ঊর্ধ্বে।
আগামী নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
‘কে এটা করবে? বলা হয়, এটা সরকারের দায়িত্ব নয়। এটা সরকারের দায়িত্ব নয় বলেও আমি বিশ্বাস করি। সব দলকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব সরকারের হতে পারে না। এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।‘তবে পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা। এটা সরকারের দায়িত্ব।’