যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে তিন দিনে বাংলাদেশ ভারতে ১৭৩ টন ইলিশ রপ্তানি করেছে বলে বেনাপোল মৎস্য অফিসের একটি সূত্রে জানিয়েছে। সোমবার পর্যন্ত আগের তিন দিনের ইলিশ রপ্তানির তথ্য জানায় সূত্রটি।
চলতি বছর ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। দুর্গাপূজার আগে পদ্মার ইলিশ পেয়ে খুশি কলকাতাবাসী।
অন্যদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে বাংলাদেশে মাছটির দাম বেড়ে যাচ্ছে। দেশের বাজারে ইলিশের দাম বাড়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
রপ্তানির সিদ্ধান্তের পর দেশীয় বাজারে মাছের দাম কেজিতে ৪০০-৫০০ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরকার ২০১২ সালে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে পূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে আসছে সরকার।
বেনাপোলের বাজারে ইলিশ কিনতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মশিয়ার রহমান নামের এক ভোক্তা বলেন, বাজারে ইলিশের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় এ বছর ইলিশ কিনতে পারিনি।
বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ী শহিদ জানান, রপ্তানির কারণে ইলিশের দাম বাড়ছে। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সি স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্কের কারণে পূজার আগে আমরা বাংলাদেশি ইলিশ পেয়েছি। আমরা খুব খুশি।’
বেনাপোল মৎস্য অফিসের মৎস্য বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে (বৃহস্পতি, শনি ও সোমবার) ভারতে ১৭৩ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। দেশের ৭৯টি ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাকি ইলিশ রপ্তানি শেষ করবে।