মোহাম্মদ কেফায়েত উল্লাহ (খাগড়াছড়ি) :
৫ই আগস্টের বিজয় চূড়ান্ত বিজয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আহসান উল্লাহ। আজ বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার আমীর মো. শামসুল হক’ র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের মজলিসে শুরার সদস্য অধ্যক্ষ আমীরুজ্জামান ও জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল মোমেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, ৫ ই আগস্টের বিজয় আমাদের জন্য চূড়ান্ত বিজয় নয়। আমাদের ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সৃষ্ট জঞ্জাল অত্ত দ্রুত পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। আজকে যারা ডিসি-এস পি হিসেবে আছেন, তারা গত ষোলো বছর দলীয় ক্যাডারের মতো কাজ করেছেন। তাদেরকে প্রশাসনের শীর্ষ পদে রেখে আপনারা কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করতে পারেন ! সুতরাং, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, ষোলো বছর ধরে আওয়ামী লীগের হাতে যত গুম-খুন হয়েছে, যত জুডিশিয়াল কিলিং হয়েছে, সব কিলিং ও গুম-খুনের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের আইনেই তাদের বিচার করতে হবে বলে দাবী করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অধ্যক্ষ আমীরুজ্জামান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আয়নাঘর, গুম ও খুনের মাধ্যমে শহীদি কাফেলা জামায়াত শিবিরের শত শত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। কিন্তু জামায়াত-শিবির ৫ আগস্টের পর কারো উপর প্রতিশোধ নেয়নি। জামায়াত-শিবির প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনা। আমরা এ দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েম করতে চাই। আমরা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আমরা কোন প্রকার অশান্তি চাইনা।
স্থানীয় চৌধুরী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল জলিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবুল হোসেন, জামায়াত নেতা এডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী, ইসলামি ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি মাঈনুদ্দীন, জামায়াত নেতা শাহরিয়ার নাজিম ও সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াত, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।