অস্ট্রেলিয়ায় ২০০২ সালে পর একের পর এক সফরে পাকিস্তান গেলেও ফিরতে হতো সিরিজ হারের বেদনা নিয়ে। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে ওয়ানডেতে সিরিজ জয়ের মধ্যে ২২ বছরের অপেক্ষা ঘুচল পাকিস্তানের। ওয়ানডেতে সিরজ জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই হয়েছে ম্যান ইন গ্রিনরা। অজিদের বিপক্ষে সিরিজ হেরে আজ শেষ ম্যাচ পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিলো ধবলধোলাই এড়াতে।
তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় বাবর আজমরা। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মার্কাস স্টয়নিস ঝড়ে ১২তম ওভারে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। তাতে ৭ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করল অজিরা।
১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। দলীয় ৩০ রানে দুই ওপেনারকে হারায় অজিরা। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক ইংলিসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মার্কাস স্টয়নিস। ৫৫ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপর ইংলিস ফিরে গেলেও বাকি কাজ টিম ডেভিডকে নিয়ে শেষ করেন স্টয়নিস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। তাতে ১২তম ওভারে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় অজিরা। এতে ৭ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলো তারা।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন শাহিবজাদা ফারহান। তারা বিচ্ছিন্ন হন ১৭ রান করে। মাত্র ৯ রানে স্পেন্সার জনসনের শিকার হন ফারহান। এরপর হাসিবউল্লাহ খানকে নিয়ে বাবর ৪৪ রানের জুটিতে গড়েছিলেন। তবে দলীয় ৬১ রানে হাসিব ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এই জুটি ভাঙার পর বলার মতো আর কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি। ফলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। জাম্পার বলে বোল্ড হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। ২৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে সাজান নিজের ইনিংস। ২৪ রান আসে হাসিবউল্লাহর ব্যাট থেকে। শেষদিকে ১৬ রান করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তাতে ১৮.১ ওভারে ১১৭ রানের জুটি পায় পাকিস্তান।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত