আজ পয়লা কার্তিক, হেমন্তের শুরু। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ—এই দুই মাস নিয়ে চিরায়ত হেমন্তকাল। শীতের আগমনি বার্তা নিয়ে ধীর পায়ে প্রকৃতিতে আসে হেমন্ত।
হেমন্তকাল ফসলের ঋতু। প্রথম মাস কার্তিক একসময় বাংলার ঘরে ঘরে অভাবের মাস হিসেবে পরিচিত ছিল। কার্তিকের সেই মঙ্গার কাল মানুষ পার করেছেন আগেই। অগ্রহায়ণ পুরোপুরি ধান কাটার মাস। মাঠে, কৃষকের বাড়িতে নতুন ধানের ঘ্রাণ। এ সময়েই সূচনা হয় নবান্ন উৎসবের।
হেমন্ত জীবন ও প্রকৃতিতে এক আশ্চর্য সময় হয়ে ওঠে। বর্ষার পরে এই সময়ে বৃক্ষ রাজি থাকে সবুজে ভরা। ভরা থাকে খাল-বিল নদী-নালা। বিল জুড়ে সাদা-লাল শাপলা আর পদ্ম ফুলের সমারোহ। এই হেমন্তের দুই রূপ প্রতিভাত হয়। প্রথম মাসটির এক রূপ। পরেরটির অন্য।
এক সময় হেমন্তের প্রথম মাসটি ছিল অনটনের। ফসল হতো না। বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্যাভাব দেখা দিত। সারা বছরের জন্য জমিয়ে রাখা চাল ফুরিয়ে যেত এ সময়ে এসে। ধানের গোলা শূন্য হয়ে যেত। কার্তিকের দুর্নাম করে তাই বলা হতো ‘মরা কার্তিক’। ধূসর বিবর্ণে ভরা ঋতু হেমন্ত। এই ঋতু সুফলা নয়। মৌসুমি কোনো শস্য বা আনাজ আমরা এই ঋতুতে পাই না। বর্ষা ও শরতের কখনো অনাবৃষ্টি আবার কখনো অতিবৃষ্টির কারণে এই ঋতু বরাবরই নিষ্ফলা থাকে। শাক সবজি ফলমূলেরও আকাল। দাম তাই আকাশচুম্বী।