হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় জোহরের নামাজ শেষে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসূফ।
জানাযা শেষে হাটহাজারী মাদ্রাসাস্থ প্রিয় মসজিদের পাশে আহমদ শফীকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
জানাযা উপলক্ষে এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয় হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে। এছাড়াও ৪ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন ৭জন ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে আল্লামা শফীর মরদেহ পৌঁছায় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসায়। এরপর তার লাশ জনসাধারণের দেখার জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
সেখানে সমাগতদের উদ্দেশে কথা বলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, ‘মরহুম আহমদ শফি আমাদের ওস্তাদ। তার মৃত্যুতে আমরা এতিম হয়েছি। এতো বড় একজন ওস্তাদুল ওলামাকে হারিয়ে আমরা আজ অসহায়। তিনি শুধু পরিবারের মুরুব্বি ছিলেন তাই নয়, তিনি আমাদের সকলের মুরুব্বি ছিলেন। উনার তরিকা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করবো।’
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।