বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বাস্থ্য খাত থেকে প্রতিদিনই দুর্নীতিবাজ বের হচ্ছে। এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় নকল মাস্ক, পিপিই, করোনা মোকাবিলার জন্য যত স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, সবকিছুর এক ধরনের জালিয়াতি চক্র তৈরি হয়েছে। এই স্বাস্থ্য খাতে যত দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলোর টাকা দিয়েই তো এতিমদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করা যেত।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক গান ও ভিডিও ক্লিপ’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিজভী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘গোটা দেশকে খোকলা করা হয়েছে, মানে অন্ধকার গহ্বরে পরিণত করা হয়েছে। এখানে কিছু নেই। জনগণের পকেট মেরে বিত্ত-বৈভব হয়েছে কার? আপনার, আপনার দলের নেতাকর্মীদের। আপনি এতিমদের ভবিষ্যতের কথা বলেন, কানাডার বেগমপাড়া আর মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমে আপনার দলের নেতাকর্মীদের যত টাকা গেছে, সেই টাকা যদি যেতে না দিতেন, তাহলে সে টাকা দিয়েই বড় বড় এতিমখানা তৈরি করতে পারতেন। তাহলে তো এতিমদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সব ব্যবস্থা করা যেত।’
করোনা বুলেটিন বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দুঃসহ বিভীষিকাময় অন্ধকার সর্বত্র বিরাজমান। বিশেষ করে গত কোরবানি ঈদের পর থেকে করোনার প্রকোপ আরো বেড়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনা কমে গেছে। প্রতিদিন ব্রিফিং করে কমিয়ে বললেও মানুষ কিছুটা জানতে পারছে। কিন্তু সরকার মনে করছে, তারা বিব্রত হচ্ছে। এজন্য ব্রিফিং বন্ধ করে দিয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘আগস্ট মাসে শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা নিহত হয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরাও এটা মর্মান্তিক মনে করি। এ জন্য আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এতিম হয়েছেন, আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু ’৭২ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত রক্ষী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন, যারা অনেকেই বিয়ে করেছিলেন, তাদের সন্তানেরাও তো এতিম হয়েছে। তাদের সম্পর্কে তো আপনি বক্তব্যে কিছু বলেননি। এটাও তো বলা উচিত ছিল। আপনি না দেশের প্রধানমন্ত্রী?
রিজভী বলেন, আপনাদের সরকারের কারণে সারা দেশে যারা এতিম হলো, তাদের কথা তো বলা উচিত ছিল। কিন্তু আপনি শুধু নিজের কথা বললেন। আপনার শাসনামলে গত ১২ বছরে মিথ্যা ক্রসফায়ারে, গুমে যেসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের ছেলেমেয়েরাও এতিম হয়েছে। তাদের কথা তো বলেননি আপনি। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী সেজেছেন, অথচ এদের কথা বলেন না।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত