নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৩২২ জনের নাম পেয়েছে। সেই তালিকা থেকে ১০ জনের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে কমিটি।
তবে এখন পর্যন্ত এখন পুরো দেশ তাকিয়ে আছে সার্চ কমিটির দিকে। প্রশ্ন একটাই: সিইসি কে হচ্ছেন? সার্চ কমিটিইবা সিইসি হিসেবে কার কার নাম প্রস্তাব করতে পারে রাষ্ট্রপতির কাছে।
সার্চ কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র প্রিয়দেশ নিউজকে জানিয়েছে, ‘সিইসি হিসেবে নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রে তিনজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই তিনজনের থেকে যেকোন একজন হতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে রাষ্ট্রপতি চাইলে এই তিনজনের বাইরে থেকেও পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে যে কাউকে সিইসি কিংবা নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দিতে পারেন।
‘সিইসি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এছাড়াও সাবেক তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের নামও সিইসি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশে থাকতে পারে’, প্রিয়দেশকে এমন তথ্যই জানিয়েছে সূত্রটি।
‘এছাড়াও সরকারের বিশ্বস্ত মানুষ হিসেবে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, সাবেক আইজিপি মো. শহিদুল ইসলাম, আরইবি’র সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মউনুল ইসলাম, মেজর জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারের নাম সুপারিশ করা হতে পারে।
গত ৫ ফ্রেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন- ২০২২’ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নাম আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। দলগুলোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ আগ্রহী হলে তিনিও নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন বলে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন দল ও ব্যক্তির কাছ থেকে ৩২২ জনের নাম প্রস্তাব আসে। তবে এই সার্চ কমিটি সরকারের অনুগত লোকজন ছাড়া কারও নাম দেবে না অভিযোগ করে বিএনপি কোনো প্রস্তাব জমা দেয়নি।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম চূড়ান্তের করতে সার্চ কমিটির জন্য নির্ধারিত সময় ১৫ কর্মদিবস। কমিটি প্রতিটি পদের জন্য দুটি করে মোট ১০টি নাম সুপারিশ করবে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার কমিশনারের নাম চূড়ান্ত করবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হয়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত