সাংবাদিকদের শিবির আখ্যা: সংবাদের সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

জবি প্রতিনিধি :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাংবাদিকদের শিবিরপন্থি আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় দৈনিক সংবাদের সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা আলতামাশ কবিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- সংবাদের প্রধান প্রতিবেদক সালাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহমুদ তানজীদ।
সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এবং নরসিংদী-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসেনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ইমরান হোসেন। আদালত নথি পর্যালোচনা সাপেক্ষে পরে আদেশ দিবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর দৈনিক সংবাদ পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : গোপনেই সব দখলে নিতে মরিয়া শিবির” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর শিবিরপন্থি সাংবাদিকরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয় দখল করেছেন। অথচ প্রত্যক্ষ ভোটে সমিতির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সমিতির কার্যক্রম চালাচ্ছেন, তাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা নেই। উক্ত সংবাদে সাংবাদিকদের শিবিরপন্থি আখ্যা দেয়ায় ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ট্যাগিংয়ের রাজনীতি এতটা ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যে, সাংবাদিকদেরকেও শিবির ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। এখনও স্বৈরাচারী শক্তির প্রেতাত্মারা এগুলো করছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, এতদিন আওয়ামী ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা শুধু রাজনৈতিক অঙ্গন নয় সাংবাদিক অঙ্গনও দখল করে রেখেছিল। এখনও তারা আগের সেই দখলদারী রুপ ধরে রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের পুনরায় শিবির ট্যাগ দিচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর স্বৈরাচারমুক্ত দেশে তাদেরকে এই সুযোগ দেয়া যাবে না। আদালত মামলার নথি পর্যালোচনার জন্য সময় নিয়েছেন। সকল প্রমাণাদি থাকা সত্ত্বেও যদি এই আদালত মামলা না গ্রহণ করেন তাহলে আমরা উচ্চতর আদালতে রিভিশন করবো।