বাঙালি নারী শারদীয় দুর্গাপূজায় শাড়ি পরবে না তা কি হয়? এছাড়া যেকোন পার্টিতে যাওয়া কিংবা নিয়মিত পরার জন্যও বাঙালি রমনীর অন্যতম পছন্দ শাড়ি। কিন্তু করোনাভাইরাস এবার সবকিছু যেন এলোমেলো করে দিয়েছে। দোকানে গিয়ে শাড়ি কেনাকাটা করা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
তাই বলে কি শারদীয়ায় বা অন্য যেকোন সময়ের মতো পছন্দের শাড়ি দেখেশুনে কেনা যাবে না? যাবে। এমনই সমাধান নিয়ে এসেছে দেশীয় উদ্যোগ শাড়িওয়ালা ডটকম ( http://shareewala.com )।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শাড়িওয়ালা ডটকম এ স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের শাড়ি। এরমধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী-- অভিজাত ও তাঁতিদের বোনা আসল জামদানি শাড়ি। এছাড়াও রয়েছে কাতান সিল্ক সফট পার্টি শাড়ি। মিরপুর কাতান সিল্ক শাড়ি। ওয়েডিং গিফট শাড়ি। পূজার শাড়ি। একইসঙ্গে টাঙ্গাইল শাড়ি ও মনিপুরী শাড়িসহ এখানে রয়েছে নানা ধরনের শাড়ির কালেকশন।
শাড়িওয়ালা ডটকম এর অন্যতম পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস এর এই সময়ে বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে এমনটা বলা হচ্ছে। তবে এ কারণে তো আর কেনাকাটা বা উৎসব বন্ধ থাকবে না। এ সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে শাড়িওয়ালা ডটকম। আমাদের থিম হচ্ছে-- শাড়ি মানেই shareewala.com। এ বিষয়টি আমরা শুধু কথায় নয়, কাজেও প্রমাণ করতে চাই।
[caption id="attachment_3954" align="alignnone" width="960"] তাঁতিদের বোনা জামদানি[/caption]
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ ছাড়াও একটি বিষয় আমাদেরকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সেটি হলো- ন্যায্যমূল্যে আসল শাড়ি দেওয়া। মার্কেটের অনেক দোকানে ভারতীয় নকল ও মেশিনের মানহীন জামদানি শাড়ি আসল তাঁতিদের বোনা বলে বিক্রি করা হচ্ছে। পরে গ্রাহক বিষয়টি জানতে পেরে ফেরত নিয়ে এসেছে। সবাই তো আর জামদানি শাড়ি চেনে না, তাই অনেকে বিষয়টি ধরতে পারেন না। এটা আসলে প্রতারণা। একই কথা কাতান, মিরপুর কাতান সিল্ক শাড়িসহ অন্যান্য শাড়ির ক্ষেত্রেও। অসাধু কিছু বিক্রেতা জেনেশুনেই শাড়িপ্রেমী নারীদের সাথে এ ধরনের প্রতারণা করে থাকেন। পছন্দের শাড়ি নিয়ে এমন প্রতারণার শিকার যাতে না হন, এজন্যই শাড়িওয়ালা ডটকম এর উদ্যোগ।
রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা সরাসরি তাঁতিদের কাছ থেকে শাড়ি সংগ্রহ করে থাকি। সুতরাং এখানে নকল হওয়ার যেমন কোনো সুযোগ নেই, ঠিক তেমনই দামেও পাওয়া সাশ্রয়। এক শাড়িতে বেশি লাভ না করে, স্বল্প লাভে বেশি শাড়ি বিক্রয় করাই আমাদের নীতি।
ভারতীয় শাড়ি আর বাংলাদেশের শাড়ির মধ্যে পার্থক্য কী? কোন শাড়ির চাহিদা বেশি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতীয় শাড়ি তৈরি হয় মেশিনে আর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী অধিকাংশ শাড়ি তৈরি করেন তাঁতিরা। মেশিনে তৈরি শাড়ির মান তেমন ভালো হয়। অন্যদিকে তাঁতিরা দেশীয় তাঁতিরা হাতে বুনে নান্দনিক নকশা ফুটিয়ে তোলেন। এ শাড়ি পরেও আরাম পাওয়া যা। এজন্য আমাদের দেশীয় শাড়ির চাহিদাই বেশি। এমন কিছু ঐতিহ্যবাহী ও অভিজাত শাড়ি নিয়েই আমরা এবার পূজা কালেকশন গড়ে তুলেছি। এছাড়াও পার্টি শাড়ি, ওয়েডিং গিফট এবং সবসময় পরার জন্য বিশাল কালেকশন রয়েছে আমাদের। শাড়িওয়ালা ডটকমের ফেসবুক পেজ বা ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে সহজেই ক্যাশঅন ডেলিভারিতে কেনাকাটা করা যাবে। মনে রাখবেন-- শাড়ি মানেই শাড়িওয়ালা ডটকম।
[caption id="attachment_3955" align="aligncenter" width="960"] মিরপুর কাতান সিল্ক শাড়ি[/caption]
এই উদ্যোক্তা বলেন, এখানে যেসব শাড়ির ছবি দেওয়া আছে, তা কোন ধরনের এডিট ছাড়া অরিজিনাল ছবি। তারপরও আগে কালার বা ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ে কনফার্ম হয়ে অর্ডার করার অনুরোধ করছি। ডেলিভারি টাইম ৩-৫ দিন। এছাড়াও অন্য কোনো কালার বা কাস্টম ডিজাইন করতে চাইলে করে দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে ডিজাইন তৈরিতে তাঁতিদের সময়ের ওপর ভিত্তি করে দাম বাড়তে পারে। শাড়িওয়ালা ডটকম এর ফেসবুক পেজ থেকেও এসব শাড়ি অর্ডার করা যাবে। আমাদের ফেসবুক ঠিকানা হলো-- https://www.facebook.com/shareewalabd
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত