লক্ষ্মীপুরে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট

রবিউল ইসলাম খান

ডিজিটাল ভূমি জরিপ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি অধিগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সার্ভেয়ার ও সমমান পদে কর্মরত সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তারা বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। একই সমমানের প্রকৌশলীরা ১০ম গ্রেডে কর্মরত থাকলেও ১৪, ১৫ ও ১৬তম গ্রেডে চাকরি করছেন সার্ভে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। ১৯৯৪ সালের সিদ্ধান্ত ১০ম গ্রেডে অর্ন্তভুক্ত করার দাবিতে লক্ষ্মীপুরে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবয়ন পরিষদ।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। কর্মবিরতিতে জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা অংশ নেয়। ১ অক্টোবর থেকে ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা-দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করবে বলে জানা যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সার্ভেয়ার আবদুস সালাম (এল এ শাখা), আবদুল্লাহ আল মামুন (কমলনগর), মো. আবদুল কাদের (রামগতি), প্রমেশ্বর চাকমা (সদর), শাখাওয়াত হোসেন (রামগঞ্জ), শাখাওয়াত হোসাইন (সদর), মিজানুর রহমান (জেলা পরিষদ), সাজিদুল ইসলাম (রায়পুর), আবদুল আউয়াল (পানি উন্নয়ন বোর্ড), মনিরুজ্জামান (পানি উন্নয়ন বোর্ড) ও ফরহাদ হোসেন (এলজিইডি)।

তারা জানান, গ্রেড বৈষম্য নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত বৈষম্য নিরসন না হলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চার বছর মেয়াদের (পূর্বে তিন বছর মেয়াদি প্রকৌশল ডিপ্লোমা) সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থায় সার্ভেয়ার পদে কর্মরত। তারা সরকারের সব উন্নয়নমূলক কাজের প্রাথমিক ধাপে সরাসরি ভূমিকা পালন করেন।

বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সুপারিশই বাস্তবায়িত হয়নি। তাই অনতিবিলম্বে চাকরিতে বৈষম্য দূর করে তাদের চাকরি ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি জানান তারা।