লকডাউন পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর এক ভয়াবহ সময় পার করছে দেশ। টানা কয়েকদিন শতাধিক মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যাও বাড়তির দিকে রয়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেই সোমবার আরও এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সোমবার মন্ত্রী পরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিবদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনা প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে এ নিয়ে কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তা করছে। ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্যে লকডাউন শিথিল হতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে মানসিকভাবে প্রস্তুত ও ধৈর্য ধরতে হবে। পরিবহন শ্রমিকসহ বেকার শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবার এবং অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ কৃষকসহ ৩৬ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিম্ন আয়ের মানুষের পরিবার প্রতি আড়াই হাজার টাকা করে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার প্রতি ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন। এ বাবদ সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ পরিবারকে মাথাপিছু ২৫০০ এবং ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন।