ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন (চেয়ারম্যান) ৩ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এরমধ্যেই গত রাত থেকে রিমান্ডে বারবার কেঁদে উঠছেন রাসেল। এমনকি রিমান্ড থেকে বাঁচতে বুক ব্যথার নাম করে হাসপাতালেও গিয়েছেন রাসেল।
তবে ঢাকা মেডিকেলে ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার বুক ব্যথার কোনো সত্যতা না পাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেননি। এরপর তাকে রাজধানীর আরেকটি সরকারি হাসপাতালে নেয় পুলিশ। এরপর আবার তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলা হওয়ার পর সেদিন বিকেলেই রাসেলকে আটক করে র্যাব।
এরপর শুক্রবার র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে জানান, একটি বিদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় অফারের আলোকে ইভ্যালির ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি তৈরা হয়েছিল। প্রথমত ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। পরে দায়সহ কোনো প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোম্পানির কাছে বিক্রি করে লভ্যাংশ নিয়ে নেওয়া, কোম্পানির কাছে শেয়ারের অফার দিয়ে প্রলুব্ধ করে দায় চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। তিন বছর পূর্ণ হলেই শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দায় চাপানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। সর্বশেষ দায় মেটাতে ‘দেউলিয়া ঘোষণার’ পরিকল্পনা করেছিলেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইভ্যালির ব্যবসায়িক কারসাজি দেশব্যাপী একটি বহুল আলোচিত বিষয়। কারসাজির মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ইভ্যালি প্লাটফর্মে প্রতারিত হয় সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন লোভনীয় গগনচুম্বী অফার দেখিয়ে প্রলুব্ধ করে সাধারণ জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বেশ কয়েকটি সংস্থা ইভ্যালির ব্যবসায়িক কাঠামো নিয়ে পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত