রিজার্ভ চুরির পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও খোয়া যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। এ পর্যন্ত ফেরত পাওয়া গেছে চুরি হওয়া মোট অর্থের মাত্র ১৮ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মামলা যেহেতু এখনও চলমান রয়েছে তাই চুরি হওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা ফিলিপিন্সে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ওই ঘটনার পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও এখনও চুরি হওয়া রিজার্ভ উদ্ধার করা যায়নি। শনাক্ত করা যায়নি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের। এ সংক্রান্ত মামলার এখন সর্বশেষ পরিস্থিতি কী?
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বলেন, এ মামলাটা মাঝামাঝি সময়ে আবার স্টেট কোর্টে করা হয়েছে। সেখানে মামলার রিভিউ চলছে এবং আসামিদের সমন জারি হয়ে গেছে। এখন হয়তো খুব শিগগিরই কোর্টে হেয়ারিং শুরু হবে।
তিনি বলেন, এটা জনগণের টাকা। এ টাকা উদ্ধারে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা হারাইনি। আমাদের পক্ষে আমাদের আইনজীবীরাও বলছেন, এ টাকা আদায় করা সম্ভব।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংককে হাজির হতে নির্দেশ দেয় দেশটির আদালত। অন্যদিকে এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৬ বারের মতো সময় নিয়েছে সিআইডি।