নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে আজ থেকে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির সংলাপ। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সেই পরামর্শ অনুযায়ী ইসি গঠন করাই মূলত এই সংলাপের লক্ষ্য।
তবে ২০১৬ সালের শেষ দিকে ইসি গঠনের লক্ষ্যে একইভাবে সংলাপ শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক মাসের বেশি সময় ধরে সেই সংলাপ চলে। তখন রাষ্ট্রপতি সব দলের কথা শুনেছেন, সৌজন্য দেখিয়েছেন। কিন্তু ইসি গঠনে বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি।
এর আগের দুই দফা (২০১২ ও ২০১৭ সালে) সংলাপের পর গঠিত দুই নির্বাচন কমিশনই ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছে। এজন্য নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা এই সংলাপ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে তেমন কোনো তাগিদ বা উচ্ছ্বাস নেই।
এবার প্রথমদিন প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইসি গঠনে জাপার মতামত নেওয়ার বিষয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু ইসি গঠনে আইন করা হবে কি না, সেটাও স্পষ্ট নয়। ফলে আগে থেকে কোনো প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার সুযোগ কম। রাষ্ট্রপতি যেসব বিষয়ে জানতে চাইবেন, আমররা সেসব বিষয়ে মতামত দেব।
জাতীয় পার্টির পর মঙ্গলবার বৈঠকে অংশ নেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ। জাপা ও জাসদ সূত্র জানায়, করোনা মহামারির কারণে রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে জাপার সর্বোচ্চ আটজন এবং জাসদের সাতজন নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জাসদের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচি ঠিক করতে আজ দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব আমরা আগেই (২০১৬ সালে) দিয়েছিলাম। এবারও এই প্রস্তাব তোলা হতে পারে।