ইলেকট্রিক ইল সাধারণত একটি মাছ। এদের দেখতে অনেকটা বাইন মাছের মতো। এরা সাধারণত ৬-৭ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের ওজন ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত হয়।
দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার খাল ও নদীর স্বচ্ছ পানিতে এবং কর্দমাক্ত পানিতেও এ মাছ পাওয়া যায়। এর নাম ইলেকট্রিক ইল বলা হয়, কারণ এরা দেহে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে।
এরা ৫০০-৮০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এবং এই বিদ্যুৎ প্রবাহর পরিমাণ প্রায় ১ অ্যাম্পিয়ার এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ চলে ১-২ মিলি সেকেন্ড পর্যন্ত।
এরা এদের বিদ্যুৎ শিকার করতে, ভয় পেলে বা শত্রুকে আক্রমণ করার সময় কোষ থেকে ব্যবহার করে থাকে। এদের বিদ্যুৎ একটা বড় প্রাণীকেও ঘায়েল করতে পারে।
কোনো কারণে যদি এই শক মানুষের গায়ে লাগে তবে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মানুষটি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মারা যাবে। ইলেকট্রিক ইলের দেহের পেশি আর স্নায়ুকোষ বিশেষভাবে গঠিত এবং এর মাধ্যমেই ইলেকট্রিক ফিল্ড তৈরী করে। লেজের বিশেষ অঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
কোন শত্রু বা শিকারের আভাস সে পায় তখন তার স্নায়ুর ক্রিয়ার দরুন নেগেটিভ পজেটিভ বর্তনী তৈরি হয় এবং বিদ্যুত উৎপন্ন হয়। এ অঙ্গ থেকে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক শক্তিকে ইংরেজীতে বলা হয় Electric Organ Discharge সংক্ষেপে EOD.
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত