মিডিয়ার কোন খবর মিথ্যা হওয়ায় হেফাজতে ইসলাম অনবরত মিডিয়ার ওপর আক্রমণ করছে এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
রিসোর্টে নারী নিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে কথা বলতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো’তে আসেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সেখানে নানা প্রশ্নে নাস্তানাবুদ হন তিনি।
‘রিসোর্টে মামুনুল হক নারীসহ ধরা খাওয়ার পর ওই নারীর ভুয়া নাম বললেন, রিসোর্ট বুকিং করেছেন প্রথম স্ত্রীর নামে কিন্তু প্রথম স্ত্রী ছিলেন না, পরে ফোনে স্ত্রীকে বললেন ওই নারী বন্ধু শহীদুলের স্ত্রী, আবার ভাইদের সাথে লাইভে এসে বললেন ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী; ব্যক্তিগত জীবনে এত মিথ্যার আশ্রয় নেয়া একজন মানুষ কিভাবে ইসলামের হেফাজতের দাবিদার একটি সংগঠনের নেতা হন?’
এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামাবাদী বলেন, ‘আমার মনে হয় এখানে তথ্যের বিভ্রাট আছে। যাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে মিডিয়ায় রিপোর্ট করা হচ্ছে তিনি তার স্ত্রী নন। তার স্ত্রীর মুখ তো খোলা থাকতে পারে না। সিসি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে তিনি কালো বোরকা পরিহিত। কিন্তু ভিডিওতে দেখলাম সেটা ভিন্ন কালারের বোরকা পরিহিত। এখানে একটা গরমিল দেখা যাচ্ছে।
দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, মাওলানা মামুনুল হক তার স্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন মিডিয়ার কাছে এই রেকর্ড কিভাবে আসলো? এখানে কোনো ষড়যন্ত্র লুকায়িত আছে। নিশ্চয়ই ওনাকে ফাঁসানোর জন্য কোনো এজেন্সির পক্ষ থেকে সোনারগাঁওয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং ওনার ফোনালাপ রেকর্ড করে জাতির সামনে উপস্থাপন করে শুধু ওনাকে নয়, পুরো জাতির ওলামায়ে কেরামকে অপমান করা হয়েছে। হেফাজতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করেছে।’
এসময় মামুনুল হক কসম করে দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম প্রথম স্ত্রীর নামে চালিয়ে দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়। মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রীর নাম আমেনা তাইয়েবা, দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম এটা নয়। তাহলে তিনি কিভাবে আল্লাহর নামে কসম করে এটা বললেন? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত