মোমিনুর রহমান, মানিকগঞ্জ:

তারুণ্যের উৎসব মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (বিজয় মেলা মাঠ) প্রাঙ্গণে এই পিঠা উৎসব ও গুড় মেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা।
জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন,শত বছরের লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য রয়েছে মানিকগঞ্জে। এই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজারি গুড়ে। এই দুই মিলিয়ে জেলার ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে লোকসংগীত আর হাজারী গুড়, মানিকগঞ্জের প্রাণের সুর।হাজারী গুড়ের ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে এই গুড়ের উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন নতুন গাছি তৈরি করতেই এই মেলার আয়োজন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোহাম্মাদ আতিকুল মামুনসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
পিঠা ও গুড় মেলায় স্টলেগুলোতে মাদ্রাসার,স্কুল,কলেজের এবং সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বাহারি রকম পিঠা পদর্শন করা হয়।এ সময় ডিসি মহোদয় স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
স্টলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।পিঠাগুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো পাটিশাপটা, চিতই পিঠা, চুড়ি পিঠা, কাঁঠাল পাতা পিঠা, তেল পিঠা, বিস্কুট পিঠা, ছিটরুটি পিঠা, ডিম পিঠা, সমুচা পিঠা, মোহন বাঁশি পিঠা, মাছের কাঁটা পিঠা, রুটি পিঠা, তিল পুলি, শামুক পিঠা, দুধ পুলি, গোল পিঠা, ফুল পিঠা, জানালা পিঠা, সেমাই পিঠা, লাভ পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, মোরক সংশা, পাকন, মুঠা পিঠা, সাজ পিঠা, ভাপা পিঠা, গুলি পিঠা, চিরুনী পিঠা, সিম পিঠা, তারা পিঠা, মোরগ পাখি, পুতুল পিঠা, চুকুই পিঠা, কামরাঙ্গা পিঠা, বাদাম পিঠা, মুখশলা, ভাজা পুলি, কাচি পিঠা, দইলা পিঠা, চাটি পিঠা, দুধচিতই, সেমাই পিঠা, বড়া, নারিকেল পিঠা, তালের পিঠা, জামাই পিঠা, তিল পুলি, লবনাঙ্গ লতিকা, জবদানা, ভাপা পুলি, সিদ্ধ পুলি, নিমকী, পাতা পিঠাসহ প্রায়  পাঁচ শতাধিক প্রকারের পিঠা স্থান পায়।