৬ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহীর সাবেক ৮ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল, বাজুসের সাবেক সভাপতি এনামুল হক দোলনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং ৬টি সংসদীয় আসনের ৮ জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ফেলে আত্মগোপনে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন- রাজশাহীর সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-১ আসনের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ আসনের সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হক, রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক এমপি দারা মুনসুর।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল, বাজুসের সাবেক সভাপতি এনামুল হক দোলনের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটে সোনা চোরাচালান করে আওয়ামী লীগ আমলে হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।