চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একইসাথে এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন: চাঁদপুরে ক্রয়সূত্রে আমার কোনো জমি নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে পৈত্রিক ভিটা থাকতে পারে। গত ১৩ বছর ধরে আমি সেখানকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এরপরও আমার নিজের কোনো জমি সেখানে নেই।
চাঁদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন ডা. দীপু মনি। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে আমার একমাত্র ভাইকে জড়ানো হয়েছে। তিনি একজন চিকিৎসক। হাসপাতাল করার জন্য তিনি অল্প অল্প করে জমি ক্রয় করেছিলেন। তবে সেখানে এখন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে এবং আমি যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী, তাই তিনি সেখানে হাসপাতাল করতে পারছেন না। সেজন্য সেই জমি আমার ভাই বিক্রি করে দিয়েছেন। সুতরাং সেখানে আমার বা আমার পরিবারের কারও কোনো জমি নেই। এছাড়াও আরও কয়েকজনকে আমার পরিবারের সদস্য বলা হলেও তারা আমার পরিবারের সদস্য নন।
তিনি জানান, এমন অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমির মূল্য নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসক। তাদের যে অফিসগুলো আছে তারা জমির মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। এর বাইরে জমির মূল্য নির্ধারণের কোনো সুযোগ নেই। প্রথমে একটি প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্রাক্কলন অনুযায়ী ৬২ একর জমির মূল্য প্রথমে নির্ধারণ করা হয় ৫৫৩ কোটি টাকা। পরে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বদলির কারণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। পরবর্তীতে আবার প্রাক্কলন তৈরি করা হলে জমির মূল্য দাঁড়ায় ১৯৩ কোটি টাকা। দু’টোই প্রশাসনের মাধ্যমে হয়েছিল।
ডা. দীপু মনি বলেন: এখান থেকে আমার বা আমার পরিবারের কারও সুবিধা পাওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। কাজেই এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত