ভালোবাসা দিবসে মোশতাক আহমেদের রোমান্টিক উপন্যাস কিনতে পাঠকের ভিড়

পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস আজ। এদিন বইমেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই ভিড় থাকে। প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে বইমেলায় ঘুরতে আসেন নানা বয়সের, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

ভালোবাসা দিবসে অমর একুশে বইমেলায় বিভিন্ন স্টলে বিক্রয়কর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এর মধ্যে অনিন্দ্য প্রকাশের স্টলে দেখা গেল একটু বেশিই ভিড়। কথাসাহিত্যিক মোশতাক আহমেদের নতুন ৪ উপন্যাসসহ ১২০টি বইয়ের অধিকাংশই পাওয়া যাচ্ছে এখানে। মেলায় আসা বিভিন্ন বয়স ও নানা শ্রেণির পাঠককে মোশতাক আহমেদের নতুন-পুরোনো বইগুলো কিনতে দেখা গেছে।

অনিন্দ্য প্রকাশের একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, মোশতাক আহমেদের বইয়ের বিক্রি আজ বেশি। বিশেষ করে আজ রোমান্টিক উপন্যাসগুলো বেশি কিনেছে পাঠকরা। ভালোবাসা দিবসে হয়তোবা প্রেমিক-প্রেমিকাকে রোমান্টিক উপন্যাস কিনে উপহার দিয়েছেন।

মেলায় দেখা গেল এক পাঠক মোশতাক আহমেদের ‘‘ফাগুন বসন্তে’ এবং ‘লাল ডায়েরি’ বই কিনছেন। ওই পাঠকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোশতাক আহমেদের অনেক বই আমার পড়া হয়েছে। আমার প্রেমিকাকেও কয়েকটি বই উপহার দিয়েছি। আজ ভালোবাসা দিবসে রোমান্টিক উপন্যাস দুটো তাকে উপহার দেবো।’ এমন একাধিক পাঠকের কাছে শোনা গেল একই ধরনের কথা।

অনিন্দ্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী আফজাল হোসেন জানান, মোশতাক আহমেদের উপন্যাসগুলো তুমুল জনপ্রিয়। এজন্য আমাদের স্টলে অধিকাংশ বই বহুমাত্রিক লেখক মোশতাক আহমেদের। পাঠকের কাছে তার উপন্যাসের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে সব উপন্যাস একসঙ্গে জড়ো করে রাখা হয়েছে। আজ ভালোবাসা দিবসে তার রোমান্টিক উপন্যাসগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, অনিন্দ্য প্রকাশ হতে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় নব্বইটি এবং মেলা উপলক্ষে ত্রিশটির অধিক উপন্যাস পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে। এছাড়া এবারের মেলায় কথাসাহিত্যিক মোশতাক আহমেদের নতুন চারটি উপন্যাস এসেছে। প্যারাসাইকোলজি উপন্যাসটির নাম- হারানো জোছনার সুর। এছাড়া সায়েন্স ফিকশন দ্য ওল্ড ওয়ার্ল্ড, ভৌতিক মৃত্যুবাড়ি এবং শিশিলিন গোয়েন্দা সিরিজের রূপার সিন্দুক।

কথাসাহিত্যিক মোশতাক আহমেদ জানান, এবারের বইমেলায় নতুন ৪টি উপন্যাসসহ সবমিলিয়ে আমার ১২০টি বই বিক্রি হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসে পাঠকদের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। ভবিষ্যতেও তারা এভাবেই আমাকে ভালোবাসায় সিক্ত করে যাবেন বলে আশা করি।

উল্লেখ্য, মোশতাক আহমেদ ২০১৮ সালে বাংলা একেডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ছোটদের মেলা সাহিত্য পুরস্কার, কৃষ্ণকলি সাহিত্য পুরস্কার এবং সিটি আনন্দ সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন।

অন্যদিকে লেখালেখির বিগত দুই দশকে বহুবার বইমেলা এবং অনলাইনে বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানসমূহে তার বই বেস্ট সেলার হয়েছে। এবারের বইমেলায়ও অনিন্দ্য প্রকাশ এর স্টলে (প্যাভিলিয়ন ২০) এবং ওয়েবসাইটে আকর্ষণীয় ছাড়ে বইগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রকমারি ডটকমসহ বই বিক্রির অন্যান্য ওয়েবসাইটে উপন্যাসগুলো পাওয়া যাচ্ছে।