চীন ও নেপালসহ অন্যান্য প্রতিবেশি দেশের সাম্প্রতিক অবস্থানে টালমাটাল ভারত। সেই যন্ত্রণার প্রভাব পড়েছে ভারতীয় পত্রিকায়ও। এর জেরে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের খবরে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করেছে ভারতীয় বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার।
এই পত্রিকাটি নিজেদের ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে বলেছে, বাণিজ্যিক লগ্নি আর খয়রাতির টাকা ছড়িয়ে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা নতুন নয় চিনের। লাদাখে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত-সংঘর্ষে উত্তাপ ছড়ানোর পরে ফের নতুন উদ্যমে সে কাজে নেমেছে বেজিং। শুক্রবার বাংলাদেশের জন্য বিশেষ সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে তারা। তাতে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া অতিরিক্ত ৫১৬১টি পণ্যে শুল্ক না-নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে চিনে রফতানি হওয়া পণ্যের ৯৭ শতাংশকেই শুল্কমুক্তির সুবিধা দিল বেজিং।
এই প্রতিবেদনটি কোনো মতামত নয়, বরং পত্রিকাটির নিউজ। মতামতেও যে শব্দ ব্যবহার করা যায় না তারা সেই শব্দ ব্যবহার করেছে সংবাদে। এমন অপমানসূচক শব্দের ব্যবহারে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে ধাক্কা লেগেছে। তারা বলছেন, পত্রিকার এমন শব্দ প্রয়োগ কিছুতেই কাম্য নয় এবং এটা রীতিমতো একটি পত্রিকার কাণ্ডজ্ঞানহীনতার প্রকাশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের এই সংকটকালে কোনো প্রতিবেশি যখন তাদের পাশে নেই, সেই মুহূর্তে ভারতীয় পত্রিকার কাণ্ডজ্ঞানহীন ভাষার ব্যবহার দেশটিকে আরও সংকটে ফেলবে। আনন্দবাজারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দু’দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হবে। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কড়া জবাব দিতে হবে।