বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আবুল কালাম আজাদ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী। মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবারও অন্যান্য সব প্রার্থীদের চেয়ে মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন।

তিনি জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থেকেও তার বিজয় নিশ্চিত করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সব সহযোগী অঙ্গসংগঠন ও স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে প্রতিদিনই শুভেচ্ছা বিনিময়, মতবিনিময় ও দোয়া চেয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তার আগের মতোই বর্তমানেও বোরহানউদ্দিন উপজেলার প্রতিটি ভোটারের মুখে মুখে আলোচনায় শীর্ষ রয়েছেন। বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদের সাবেক এ চেয়ারম্যান দায়িত্ব থাকা অবস্থায় (তার মেয়াদে) উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডের, সাধারণ অসহায়, খেটে খাওয়া হত-দরিদ্র মানুষের সুখে-দুঃখে পরিষদের অর্থায়নে ও নিজস্ব অর্থায়নেও পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি উপজেলার যেকোনো মানুষের সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা করে গেছেন।

আবুল কালাম উপজেলায় জনপ্রিয় হওয়ার কারণ তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। তার রয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক পরিচিতি। এছাড়া ও তিনি একাধিক সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রমে জড়িত। উপজেলা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগসহ তিনি সব ইউনিয়নের সবার সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে সর্বপ্রকার সেবামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন এবং চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি পূর্বের ন্যায় চেয়ারম্যান প্রার্থী। আপনাদের স্নেহ, ভালোবাসা, দোয়া, মূল্যবান ভোট ও সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো আমাকে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করবেন। এছাড়াও বোরহান উদ্দিন উপজেলাকে একটি আধুনিক, উন্নত, সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং মুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ দেবেন।

প্রসঙ্গত, আবুল কালাম আজাদ বোরহানউদ্দিন সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং কাচিয়া টবগী ইয়াছিন পাড়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কাচিয়া টবগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) ছিলেন। তার শিক্ষকতা জীবনে সরকারের দেয়া কোনো বেতন-ভাতা কখনো নেননি বরং সেই টাকা ব্যয় করেছেন গরিব, অসহায় ও মেধাবি ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে।