বিশ্ব দাইমা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ৫ মে আন্তর্জাতিক দাইমা দিবস, ইংরেজীতে বলা হয় ইন্টারন্যাশনাল মিডওয়াইফ ডে। সমাজে স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও নবজাতকের সেবা প্রদানে দাইমার ভূমিকা তুলে ধরার জন্যে এই দিবসটি পালন করা হয়। দাইমাদের ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং দাইমার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার জন্যে দিবসটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। ১৯৯১ সাল থেকে বিশ্বের ৫০টি দেশে আনন্দমুখর পরিবেশে দাইমায়েরা দিবসটি পালন করেন। তারা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেন। আন্তর্জাতিকভাবে যারা মিডওয়াইফ বলে স্বীকৃত তাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশে দাইমায়েরা কাজ শেখেন তাদের গুরুজনদের সাথে কাজ করে এবং নিজের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে। এদের অনেকেইবিশেষ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং সে অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবার সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে দাইমায়েদের সেবার প্রয়োজন আছে। কমপক্ষে ৭১% প্রসব দাইমায়ের হাতেই হয়। তবে স্বাস্থ্য সেবার কাঠামোতে তাদের স্বীকৃতি নেই। অথচ স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ করে মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জনবলের যে ঘাটতি রয়েছে তা পুরণ করতে হলে দাইমাদের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। উবিনীগ এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দাইঘর দাইমা দিবস তিনটি এলাকায় পালন করেছে।

টাঙ্গাইলে আর্ন্তজাতিক দাইমা দিবস, ২০১৭ পালন:

টাঙ্গাইল জেলার আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া গ্রামে ৫ মে, ২০১৭ দাইঘরে উবিনীগ আয়োজিত আর্ন্তজাতিক দাইমা দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “দাইমায়েদের যোগ্য মর্যাদা ও স্বীকৃতি চাই”। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা এবং র্যালী করা হয়। উক্ত আলোচনা সভা এবং র্যালিতে নান্দুরিয়া দাইঘরের অধীনে ৫টি গ্রাম গড়াশিন, নান্দুরিয়া, কান্দাপাড়া, মৌশাকাঠালিয়া এবং নাল্লাপাড়া গ্রামের ৩৯ জন দাইমা এবং ৩৮ জন মা ও কিশোরীসহ মোট ৭৭জন উপস্থিত ছিলেন। সভায় টাঙ্গাইল উবিনীগের কর্মী ফাহিমা খাতুন লিজা, রওশন আকতার পাখি অংশগ্রহণ করেন। সমাজে স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ করে গর্ভবতী নারী এবং নবজাতকের সেবা প্রদানে দাইমায়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দিনে-রাতে দাইমায়েরা তাদের সেবা দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশে বেসরকারী সংগঠন হিসাবে উবিনীগ এই প্রথম দিবসটি পালন করেছে।

কুষ্টিয়াতে আন্তজার্তিক দাইমা দিবস পালিত

দাইমা শব্দটির মধ্যেই মা কথাটি যুক্ত আছে, যার সাথে মা ছাড়া কারোর তুলনা হয় না। যাদের কারণে এখনও গ্রামের প্রায় ৮৫ ভাগ মা সন্তান প্রসব করছে। যাদের কারণেই গ্রামের অসহায় মায়েরা নিরাপদ মাতৃত্বের স্বাদ পেয়ে সন্তানকে বুকে পাচ্ছে। একজন নবাগত শিশু দুনিয়ার সুখ ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। সেই বংশপরম্পরায় দাদী, নানী, খালা, চাচীর পাশে বছরের পর বছর থেকে শেখা দাইয়ের কাজ। দুটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে যারা নিঃস্বার্থ ভাবে আজও নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে। সেই দাইমাদের স্বরণ করে আজ আন্তজার্তিক দাইমা দিবস পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। এই উপলক্ষে উবিনীগ আয়োজিত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামে একটি র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত র‌্যালিতে বেলগাছি, জাহেদপুর, দ্বাড়িকগ্রাম, কষবা এবং নাউথী গ্রামের দাইমা, নয়াকৃষির কৃষক বোনেরা, অন্যান্য মায়েরা মিলে প্রায় শতাধিক মায়েরা অংশগ্রহণ করেন। তারা প্রথমে বেলগাছি গ্রামের দাইঘরে উপস্থিত হয়। এরপর দাইদের একটি র্যালী জাহেদপুর দ্বাড়িকগ্রাম শিলাইদহ তিন রাস্তার মোড় ঘুরে আবার দাইঘরে এসে শেষ হয়