বিএসএফ মেজর নিহত: চারঘাট সীমান্তে আসলে কী হয়েছিল?

34

রাজশাহীর চারঘাটে গুলিতে বিএসএফ সদস্য নিহতের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে এ বিষয়ে উভয়পক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ তথ্য জানায়।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়: বৃহস্পতিবার আনুমানিক বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী ব্যাটালিয়নের অর্ন্তগত চারঘাট বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য লাইন হতে পদ্মা নদীর পাড়ে আনুমানিক ৩৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী তিন জেলেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়।

‘‘এসময় বিজিবির চারঘাট বিওপি’র টহল দল মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান তদারকির জন্য উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট আবু রায়হান ও আরো দু’জন সহকারীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক জেলেকে অবৈধ কারেন্ট জালসহ আটক করে। এসময় বাকী দুই জেলে ভারতের দিকে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ বিএসএফ এর ১৭১ ব্যাটালিয়নের কাগমারী বিওপি হতে স্পিডবোটে করে ৪ জন বিএসএফ সদস্য চারঘাট উপজেলার বালুঘাট এলাকার শাহারিয়াঘাটের বড়াল নদীর মুখে আনুমানিক ৬৫০ গজ বাংলাদেশের ভিতরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। এসময় চারঘাট বিওপির টহল দল তাদেরকে বাধা দেয়।’’

বিবৃতিতে বিজিবি জানায়: ওই চার জনের মধ্যে ১ জন বিএসএফ সদস্য ইউনিফর্ম পরিহিত থাকলেও বাকিরা হাফ প্যান্ট ও গেঞ্জি পরে ছিল। এছাড়া বিএসএফ টহল দলের কাছে অস্ত্রও ছিল।

পরবর্তীতে বিএসএফ উক্ত জেলেকে জোর করে ফিরিয়ে নিতে চাইলে তাদেরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিয়ম মাফিক ফেরত দেয়া হবে বলে বিজিবি টহল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিজিবি টহল দলের পক্ষ থেকে বিএসএফ সদস্যদের আরও বলা হয়, আপনারাও অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছেন, তাই আপনাদেরকেও নিয়ম অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়: এসময় বিএসএফ সদস্যরা আতংকিত হয়ে জোরপূর্বক আটক জেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। এসময় বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে গুলি করে এবং গুলি করতে করতে স্পিডবোট চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যেতে থাকে। তখন বিজিবি টহল দল আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। এ ঘটনায় বিএসএফ’র এক সদস্য নিহত হন এবং একজন সদস্য আহত হন।

বিবৃতিতে বিজিবি’র জানিয়েছে: এ বিষয়ে রাজশাহী ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক এবং ১৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উভয়পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।

এছাড়াও এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য আবারও পতাকা বৈঠক করার ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।