নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে সারা দেশে তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী হত্যা, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানায় বিএনপি।
এ ছাড়া সরকারের পদত্যাগ এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তদারকির জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসন গঠনের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত একযোগে অবরোধ পালন করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ লেবার পার্টি ও এনডিএম পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সড়ক, রেল ও নৌপথে তিন দিন আমাদের সর্বাত্মক অবরোধ পালন করা হবে।’
অবরোধের প্রকৃতি ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ, উপজেলার সঙ্গে জেলার যোগাযোগ এবং ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ করা হবে। তবে, সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন তিন দিনের অবরোধের আওতা বহির্ভূত থাকবে।’
এর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সারা দেশে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। পরে সোমবার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।