বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সরকারের কাছে আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নয়াপল্টন অফিসের ঠিকানা দিয়ে তারা লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে এ কাজের জন্য কীভাবে অর্থ বাংলাদেশ থেকে গেল সেগুলো তদন্ত ও দেখভাল সরকারের যে সমস্ত বিভাগ ও দপ্তর করে, তাদের এরই মধ্যে সেগুলো জানানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, র্যাবকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দেওয়া চিঠি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যে ১২টি মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাবকে বাদ দিতে চিঠি লিখেছে সেখানে দুই-তিনটি ছাড়া বাকিগুলো নামসর্বস্ব, এগুলোর নাম আমরাও আগে শুনিনি, আপনারাও শুনেছেন কি না আমার জানা নাই। এটির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। এ সমস্ত সংগঠন এরই মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। সুতরাং তাদের আহ্বান খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে, অবৈধ অর্থ লবিস্ট ফার্মে লগ্নি করে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য, রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের সমৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি ধারাবাহিকভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করার জন্য এফবিআইয়ের এজেন্ট ভাড়া করেছিল। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলি এজেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। তাদের অপকর্ম যখন বেরিয়ে এসেছে তখন তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য আবোল-তাবোল বকছে।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে আইন করা হচ্ছে সেটা জনপ্রত্যাশা পূরণ করবে না- টিআইবির এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন এবং গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একটা আইন করার কথা বলেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে, পুরো বিষয়টা হচ্ছে রাজনৈতিক। টিআইবি কাজ করে দুর্নীতি নিয়ে, এটির সঙ্গে তো দুর্নীতির কোনো সম্পর্ক নাই। রাজনৈতিক ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে টিআইবি প্রমাণ করেছে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করে।
এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মনওয়ার রিয়াদ মুন্নাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।