বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই এই মুহুর্তে নির্বাচনের কথা ছাড়া : নাহিদ

নির্বাচনের কথা বলা ছাড়া এই মুহূর্তে বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষত বিএনপি ও জামায়াত, তাদের একটা রাজনৈতিক কৌশলের জায়গা থেকে নির্বাচনের কথা বলছে। আর নির্বাচনের কথা বলা ছাড়া এই মুহূর্তে বিএনপির কোনো রাজনীতিও নেই আসলে। তারা যে সংস্কারের কথা বলছে, সেই সংস্কার তো সরকার এই সময়েই করতে আগ্রহী ও উদ্যোগী। তবু তারা একটা চাপ তৈরি করছে। এটাকে আমরা খুব একটা নেতিবাচকভাবে দেখি না।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার আর নির্বাচনকে আমরা তো আলাদা করে দেখি না; বরং নির্বাচনকে প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার) দিয়েই সংস্কার কমিশনগুলো কাজ করছে। যে ছয়টা সংস্কার কমিশনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, এগুলো কিন্তু শাসনতান্ত্রিক। বাকি সংস্কারগুলো জনস্বার্থমূলক। সেগুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু নির্বাচন ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে ছয়টা সংস্কার কমিশন হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষত বিএনপি ও জামায়াত, তাদের একটা রাজনৈতিক কৌশলের জায়গা থেকে নির্বাচনের কথা বলছে।

তিনি বলেন, আমরা তাদের (বিএনপি ও জামায়াত) কাছ থেকে সময় চাইছি এবং ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, আমরা যদি সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করে কোনো দলের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দিই, তাদের জন্যই সরকার চালানো কঠিন হবে। মানুষের প্রত্যাশা যদি পূরণ না হয়, পরিবর্তন যদি না দেখে, মানুষের সেই ক্ষোভ কিন্তু যাবে না।

গণঅভ্যুত্থানের সরকারের ওপর মানুষের প্রত্যাশা নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ছয় মাসে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ ৫০ শতাংশের কিছু কম দেব। সরকারের সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছাটা সম্পূর্ণভাবে আছে। যদি রাজনৈতিক দল, অভ্যুত্থানের শক্তি এবং সাধারণ মানুষের জায়গা থেকে আরও সহযোগিতা পাওয়া যায়, আমরা আশা করি সরকার আরও কার্যকর হতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকতে পারে, পরিবর্তনের স্বাদ সবাই পেতে চায়। কিন্তু আমাদের কাজগুলো করতে হবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে।

সংস্কার, বিচার এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন- এই তিনটা আমাদের বেসিক লক্ষ্য। এ ছাড়া আছে রুটিনওয়ার্ক- আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য। এই পাঁচটা জিনিসকে মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। কিন্তু এর মধ্যে যে নানা আন্দোলন ও দাবিদাওয়া, এ বিষয়গুলো আসলে আমাদের কাজে অনেক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। নানা আন্দোলন কিন্তু সেভাবে আগের মতো দমন করা হচ্ছে না। আমরা সেটা করতেও চাই না। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা হচ্ছে।

সূত্র/প্রথম আলো