বাস্তবতায় ইম্পোস্টার সিনড্রোম

শুরুর দিকে ইমপোস্টার সিনড্রোমকে নারীদের সমস্যা বলে মনে করা হতো, বর্তমানে নারী-পুরুষ সবাই এই সিনড্রোম আছে বলে গবেষণা বলছে।বিভিন্ন ক্ষেত্র বা পেশার মানুষ যেমন মায়া আঙ্গেলো এবং টম হাংকস, মিশেল ওবামা কিংবা পেনেলোপ ক্রুজ – যারা নি:সন্দেহে সফল ও বিখ্যাত।অথচ তারা প্রত্যেকেই এই কথিত- ইম্পোস্টার সিনড্রোম এর সাথে লড়াই করেছেন।

ইম্পোস্টার (Imposter) মানে হল ছদ্মবেশী, ভন্ড ও প্রতারক।আর সিনড্রোম (Syndrome) মানে হল লক্ষণ।অর্থাৎ ইম্পোস্টার সিনড্রোম হল এমন এক ধরণের মানসিক অবস্থা যেখানে মানুষ তার নিজের অর্জন , সাফল্য, যোগ্যতা ও খ্যাতিকে সন্দেহের চোখে দেখে এবং নিজেকে অযোগ্য বলে মনে করে।এবং তার মনে হতে থাকে নিছকই ভাগ্যগুনে সে এখানে অবস্থান করছে।এবং সে যে যোগ্য নয় এই বিষয়টি সকলের সামনে ক্রমশ প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে বা যাবে।এই মানসিক অবস্থার নাম ইম্পোস্টার সিনড্রোম।

১৯৭৮ সালে Dr. Pauline R. Clance এবং Dr. Suzanne A. Imes তাঁদের প্রবন্ধে (The Impostor Phenomenon in High Achieving Women: Dynamics and Therapeutic Intervention)

ইম্পোস্টার সিনড্রোম নিয়ে সর্বপ্রথম আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, অনেক সাফল্য পাওয়া নারীদের মধ্যে এটি দেখা যায়। তাঁরা মূলত সেসব নারীদের নিয়েই গবেষণা করেন।পরে অবশ্য, বিভিন্ন রিসার্চ থেকে জানা যায় যে, শুধুমাত্র নারী না, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই ইম্পোস্টার সিনড্রোমের মধ্যে দিয়ে যায়।

“দ্য সিক্রেট থটস অব সাক্সেসফুল উইমেন’ বইয়ের লেখক ভ্যালেরি ইয়াং একজন ইম্পোস্টার সিনড্রোম বিশেষজ্ঞ। ইম্পোস্টার সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আচরণে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য তিনি খুঁজে পেয়েছেন:

১.পারফেকশনিস্ট : (The Perfectionist) :পারফেকশনিস্ট মানুষজন তাদের কাজেকর্মে সবকিছুতেই নিঁখুত হতে চেষ্টা করেন। ৯৯% শতাংশ সফল হলেও তারা নিজেকে ব্যর্থ মনে করেন।এবং নিজেদের দোষারোপ করে তাদের কর্মদক্ষতা সম্পর্কে সন্দিহান প্রকাশ করতে থাকেন। কারণ ১০০% পারফেকশন না থাকলে সেই সাফল্যকে তারা সাফল্য হিসেবে মানতে চান না।

২.সহজাত প্রতিভাবান (The Natural Genius ) :কিছু মানুষ আছে যারা জন্ম থেকেই প্রতিভাবান।এমন ন্যাচারালি জিনিয়াস মানুষজনের মধ্যে মাঝে মাঝে একটা ধারণা জন্মায় যে, কোনো কাজ তারা একবারের চেষ্টাতেই পারবেন।কোনো কাজে তাদের বেশি পরিশ্রম দিতে হবে না।কিন্তু কোনো কাজে তারা যদি সেটা করতে না পারেন বা অন্য কথায়, যদি তারা কোনও কিছু আয়ত্ত করতে দীর্ঘ সময় নেয় তবে তারা লজ্জা বোধ করেন ।তাহলে তাদের মধ্যে ইম্পোস্টার সিনড্রোম দেখা দেয়।

৩. সুপারম্যান বা সুপারওম্যান: ( The Superman/Superwoman) : এই টাইপের ব্যক্তিরা নিজেদেরকে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সফল দেখতে বদ্ধপরিকর।আশেপাশের মানুষদের থেকে তারা সর্বদা একধাপ বেশি পরিশ্রম করতে চান শুধু এ কারণে যে তাদেরকে প্রমাণ করতেই হবে,তারা অযোগ্য নন।একজন ইম্পোস্টার নই আমি- শুধু এ ধারণাটি প্রতীয়মান করার জন্য তারা সবসময় নিজেদের উপর চাপ তৈরি করতে থাকেন।

৪. The Soloist: (একাকী মননের ব্যক্তি) :“আমার কারো সাহায্যের দরকার নেই আমি সব নিজেই করতে পারবো।”এই ধরণের স্বাধীনচিন্তা থাকা ভালো।পরনির্ভর না হয়ে নিজের প্রতি দায়িত্ব নেওয়া।কিন্তু যদি কেউ সর্বদা অন্যের সাহায্যকে প্রত্যাখ্যান করে সর্বদা একলা চলো নীতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন এইভেবে যে,কারো কাছে সাহায্য চাইলে তাকে অন্যেরা প্রতারক বা ব্যর্থ মনে করতে পারে।এই ভয়ে সে নিজেকে সাহায্য চাওয়া থেকে বঞ্চিত রাখেন তবে বিষয়টি ইম্পোস্টার সিনড্রোম এর ইঙ্গিত দেয়।

৫.বিশেষজ্ঞ (The Expert) :

বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা যেকোনো কাজে হাত দেওয়ার আগে সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। আর তারা মনে করেন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তাদের সকল তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতেই হবে। কর্মক্ষেত্রে বা কোনো মিটিং চলাকালীন তারা কোনো রকম প্রশ্ন করেন না। কারণ তাদের ভেতর ভয় কাজ করে, তারা ভাবে যদি ঐ প্রশ্ন তাকে অন্যদের সামনে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে দেয় বা সবাই তাকে বোকা মনে করেন

গবেষণায় জানা যায় ৭০শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো সময় ইম্পোস্টার সিনড্রোম এ ভোগেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বা নানান পেশার মানুষ যেমন মায়া অ্যাঞ্জেলো, মিশেল ওবামা ,অস্কার জয়ী অভিনেতা টম হাংকস
বা পেনেলোপ এই বিখ্যাত মানুষগুলোও এই ইম্পোস্টার সিনড্রোম এ ভুগেছেন।

মিশেল ওবামা বলেছেন কিভাবে ইম্পোস্টার সিনড্রোমের সাথে লড়েছেন তিনি

মায়া অ্যাঞ্জেলো, পুরষ্কার প্রাপ্ত লেখক একবার তার ১১ তম বই প্রকাশের পরে বলেছিলেন যে প্রতিবার তিনি অন্য একটি লেখার জন্য নিজেকে ভাববেন: “আহ-ওহ, তারা এখন উপলব্ধি করবে। আমি প্রত্যেকের উপর একটি খেলা চালিয়েছি ।”টম হাংকস এক রেডিও সাক্ষাতকারে বলেছেন-
“আমি কী করেছি সেটা বিষয় নয়। বিষয়টা হলো কিভাবে এখানে এলাম। যখন মনে হয় আসলে আমি একজন প্রতারক এবং এটিই সব কিছু নিয়ে যায় আমার কাছ থেকে।”

নারীরা, বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা ইম্পোস্টার সিনড্রোমের শিকার হয়ে থাকেন মারাত্মকভাবে। ঠিক একইভাবে এলজিবিটিকিউ কিংবা আদিবাসী জনগণও এই সিনড্রোমে ভোগার ঝুঁকিতে থাকেন।এবারে এর কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

লিন ইন এর গবেষণামতে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট সংস্কৃতি নারীদের ইম্পোস্টার সিনড্রোমের উর্বরভূমি। তাদের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক পদে নারীদের নিয়োগ কিংবা পদোন্নতির হার খুবই কম। ২০১৯ সালে তাদের পরিচালিত এক জরিপানুযায়ী, কোনো দলে প্রতি ১০০ জন পুরুষ নিয়োগের বিপরীতে মাত্র ৭২ জন নারী নিয়োগ পান। ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত পদগুলোর ৬২ শতাংশ পুরুষদের দখলে, যেখানে নারীরা অধিকার করে আছেন অবশিষ্ট ৩৮ শতাংশ। ক্যাটালিস্টের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৯ সালে পরিচালকের মতো পদগুলোতে নারীদের উপস্থিতি ২৬.১ শতাংশ, যেটি ২০১৬ সালে ছিল ২০.৩। যুক্তরাজ্যে অবস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কিছুটা অধিকতর সন্তোষজনক। ২০১৯ সালে নারীদের উপস্থিত ছিল ৩১.৭ শতাংশ, যেটি ২০১৬ সালে ছিল ২৫.৩।

নারীরা কোনো রোল মডেল খুঁজে পাচ্ছেন না। অর্থাৎ, তাদের সামনে অনুসরণীয় কোনো নারী নেই। থাকলেও সেটা প্রচারের অভাবে বা সংখ্যার বিচারে প্রভাব বিস্তারকারী কিছু হতে পারছে না। এর ফলে কী হচ্ছে? কোনো একজন নারী সম্পূর্ণভাবেই তার নিজস্ব মেধা, শ্রমের মাধ্যমে যখন খুব উঁচু একটি পদে আসীন হচ্ছেন, তখন তিনি একধরনের অনিরাপদ বোধ করতে শুরু করেন। কারণ, পুরুষ যেখানে তার চারপাশে অসংখ্য রোল মডেল বা তারই মতো প্রচুর ‘হাই অ্যাচিভার’ দেখতে পাচ্ছেন, সেখানে নারী নিজেকে আবিষ্কার করছেন একদম একাকী। কর্পোরেট দুনিয়ায় তিনি যত উপরে উঠছেন, লৈঙ্গিক বিচারে তিনি নিজের সহচারী খুঁজে পাচ্ছেন না বললেই চলে। এই যখন শ্বেতাঙ্গ নারীদের অবস্থা, তখন ওম্যান অভ কালারস বা কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা ঠিক কোথায় আছেন, বোঝাই যাচ্ছে।

কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের রোল মডেল উরসুলা বার্ন্স;

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার পরও পরিচালক পদে তাদের উপস্থিতি মাত্র ৫ শতাংশ। ফরচুন ফাইভ হান্ড্রেড প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিহাসে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়া একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ নারী হলেন জেরক্সের উরসুলা বার্ন্স, যিনি এ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন ২০১৬ সালে।

বর্ণবাদী মনোভাব এবং লিঙ্গভিত্তিক তথাকথিত চিন্তাভাবনার প্রচার-প্রসার নারীদের ইম্পোস্টার সিনড্রোমের শিকার হওয়ার আরেকটি বড় কারণ। নারীরা গণিতে বা বিজ্ঞানে ভালো না, নারীদের বুদ্ধিমত্তা কম, আবেগ দিয়ে চিন্তা করার কারণে নারীরা বাস্তববাদী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, আদিবাসী এবং কৃষ্ণাঙ্গরা খুবই অলস, মাথামোটা এবং তাদের মাঝে ঐক্যের অভাব ইত্যাদি প্রচলিত ধারণাগুলো বহুল চর্চার ফলে মানুষের মনে পাকাপাকিভাবে অবস্থান করে নিয়েছে। এগুলোও নারীদের নিজেদেরকে ইম্পোস্টার ভাবতে বাধ্য করে।

সারা বিশ্ব জুড়ে নারীদের রূপের প্রশংসা একটি তুমুল জনপ্রিয় চর্চা। পশ্চিমা দেশগুলো জ্ঞান-বিজ্ঞানে আকাশচুম্বী খ্যাতি অর্জন করলেও নারীদের প্রতি তাদের মনোভাব সেই তুলনায় খুব একটা প্রশংসনীয় নয়। বাহ্যিক রূপ কিংবা সৌন্দর্যের প্রশংসা করা হয় দু’ভাবে। প্রথমত, একজন নারীর চেহারার গুণকীর্তন করে তাকে পটানোর চেষ্টা করা। দ্বিতীয়ত, তাকে আকারে ইঙ্গিতে এটা বোঝানো যে, আপনার সাফল্য, অর্জন সবই আপনার শারীরিক সৌন্দর্যের দান। কর্মক্ষেত্রে এ বিষয়টি এত বেশি প্রচলিত যে, নারীরা নিজেরাও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটিকেই সত্য বলে বিশ্বাস করা শুরু করেন, বিশেষত তিনি যদি সত্যিই রূপবতী হয়ে থাকেন। অর্থাৎ দক্ষতা, জ্ঞান, মেধা ইত্যাদির প্রশংসা না করে রূপের প্রশংসা করার প্রথাও নারীদেরকে ইম্পোস্টার ভাবতে প্রেরণা যোগায়।

স্রেফ নারী হওয়াই কখনও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কীরকম? নারী-পুরুষ সমতা রক্ষা করতে গিয়ে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কখনও কখনও ইচ্ছাকৃতভাবেই নারীদেরকে নিয়োগ প্রদান করে। এখানে লক্ষ রাখা দরকার যে, এই কাজটি কেউ কেউ করে থাকে মানে এই নয় যে, এটিই সর্বক্ষেত্রের স্বীকৃত বাস্তবতা। নারীদের এহেন নিয়োগযোগ্য নারীদেরকেও একই কাতারে ফেলতে প্রলুব্ধ করে। নিজের যোগ্যতা, মেধা, প্রতিভা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার পরও অনেক নারীই বিশ্বাস করেন যে, তিনি শুধু আজ নারী বলেই এ জায়গায়। প্রতিষ্ঠানের নারী-পুরুষ ভারসাম্য রক্ষা নীতির আশীর্বাদেই তিনি আজকের অবস্থানে।

ইম্পোস্টার সিনড্রোম কাটিয়ে ওঠার কয়েকটি উপায় : ইম্পোস্টার সিনড্রোম থেকে মুক্তি মিলবে তবে কী করে? দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সম্পূর্ণ মুক্তি মেলে না এ অনুভূতি থেকে।ইতিবাচক চিন্তাও কাজে দেয় না এক্ষেত্রে। মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ হচ্ছে,
১. নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। আপনি একা নন। আপনার অনুভুতিগুলো প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন।২.নিজের কাজকে নিজে স্বীকৃতি দিন। তাহলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে।৩.নিজের অর্জন ও যোগ্যতার একটি তালিকা তৈরি করুন। ভাগ্যই আপনার সব অর্জনের মূলে কিন্তু যখন কাগজে আপনার অর্জন গুলি লিখবেন তখন মনে হবে এ চিন্তা হাস্যকর।৪.যারা পারফেকশনিস্ট তাদের একটা ভালো দিক হল যে, তারা কোনো কাজ অতি যত্ন সহকারে করতে চান এবং নিখুঁত করে তুলতে নিয়মিত পরিশ্রম করেন ।কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে যে ,এই কাজের জন্য একেবারে যন্ত্রের মতো অমানবিক ভাবে খাটলে চলবে না ।রুটিনের বাঁধা ধরা নিয়মের বাইরে একটু রিলাক্স ভাবে কাজ করবে হবে । আর কাজে কোনো ভুল হলে নিজেকে ক্ষমা করতে হবে ।৫. সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থতাকেও মেনে নিতে শিখুন ।কারণ সাফল্যের সিঁড়িই হল ব্যর্থতা ।৬. নিজেকে নিজে মূল্যায়ণের আগে অন্যের ফিডব্যাক গ্রহণ করুন ।কারণ অন্যের চোখে দেখা নিজেকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় ।৭. সকলেই আলাদা আলাদা ক্ষমতা সম্পন্ন ।তাই অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজের পূর্বের কাজের সঙ্গে বর্তমান কাজের দক্ষতার তুলনা করুন ।
তথ্যসূত্র

১  Langford, Joe; Clance, Pauline Rose (Fall ১৯৯৩)। “The impostor phenomenon: recent research findings regarding dynamics, personality and family patterns and their implications for treatment” (PDF): 495–501। ডিওআই:10.1037/0033-3204.30.3.495

২  Sakulku, J.; Alexander, J. (২০১১)। “The Impostor Phenomenon”: 73–92। ডিওআই:10.14456/ijbs.2011.6

৩  Lebowitz, Shana (১২ জানুয়ারি ২০১৬)। “Men are suffering from a psychological phenomenon that can undermine their success, but they’re too ashamed to talk about it”। businessinsider.com। Business Insider সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

৪  Clance, Pauline R.; Imes, Suzanne A. (Fall ১৯৭৮)। “The Impostor Phenomenon in High Achieving Women: Dynamics and Therapeutic Intervention” (PDF) (3): 241–247। ডিওআই:10.1037/h0086006সাইট সিয়ারX 10.1.1.452.4294

৫  “5 Types of Imposter Syndrome and How to Stop Them”। The Muse।

৬  “The 5 Types of Impostors:”। Impostor Syndrome। ডিসেম্বর ৬, ২০১১।